বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বছর সাতের ছোট্ট শিশু রেল লাইনের ধারে চলে গিয়েছিল। সে ভাবতেই পারেনি, কিছুক্ষণের মধ্যেই কী ঘটতে চলেছে তার সঙ্গে। এরপরই ঘটল মর্মান্তিক পরিণতি। রেল লাইনের ধারের রেলিংয়ে দুটি লোহার রডের মাঝে মাথা আটকে মৃত্যু হল ওই শিশুর।এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উল্টোডাঙার বাসন্তী কলোনি এলাকায়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় শোকের ছায়া।
জানা গিয়েছে, মৃত শিশু বিধাননগর রোড স্টেশনের ৪ নম্বর প্লাটফর্ম সংলগ্ন বাসন্তী কলোনির বাসিন্দা। মৃত শিশুর নাম পৃথ্বীরাজ হালদার। শিশুটির মায়ের দাবি, বিকেল পৌনে তিনটে নাগাদ দুপুরের খাবার খাওয়ার পর থেকে পৃথ্বীরাজের দেখা পাননি। ছোট ছেলেকে পাড়িয়ে এসে, বড় ছেলেকে তখনও দেখা না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এরপরই তার মা বেরিয়ে দেখতে পান যে, রেললাইনের রেলিংয়ে দুটি লোহার রডের মাঝে আটকে গিয়েছে ওই শিশুটির মাথা।
এরপর শিশুটির মা বের করার চেষ্টা করেন এবং ব্যর্থ হন। এরপর মায়ের চিৎকারেই আশেপাশের লোকজন জমা হয়, তাঁরাও চেষ্টা করে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হলে, পুলিশ এসে ওই রেলিংয়ের লোহার রড কেটে শিশুটির মাথা বার করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে অচৈতন্য হয়ে পড়ে সে। এরপর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গতকালই শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
এদিকে, ৭ বছরের পৃথ্বীরাজের এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে শোকে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। সেই সঙ্গে উঠছে একাধিক প্রশ্নও। তবে, প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, রেলিংয়ের নীচে জলের ড্রাম ছিল। শিশুটি ভাত খেয়ে মুখ ধুতে ওখানে যায়। হয়তো সেসময় কিছু দেখতে পেয়ে, নিচে ঝোঁকে কিন্তু সম্ভবত দুর্ঘটনাবশত পা হড়কে রেলিংয়ের ফাঁকে গলা আটকে যায় শিশুটির। তার জেরেই এই পরিণতি। দীর্ঘ সময় এভাবে আটকে থেকেই মৃত্যু হয় শিশুটির। এমনটাই মনে করছে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :