বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিশ্বের দরবারে পৌঁছেছে দুর্গাপুজো। এই স্বীকৃতির উদযাপন হতে চলেছে পুজোর ঠিক একমাস আগেই। এবছর ১ অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। তার আগেই ১ সেপ্টেম্বর কলকাতায় মহামিছিল করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই শোভাযাত্রায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল UNESCO-র প্রতিনিধিদেরও।
জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছেন UNESCO-র প্রতিনিধিরা। ওইদিনের শোভাযাত্রায় উপস্থিত থাকবেন UNESCO-র ২ প্রতিনিধি। এই মর্মে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছেন ভূটান, ভারত, মালদ্বীপ এবং শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধি এরিক ফাল্ট। উল্লেখ্য, UNESCO-র কালচারাল হেরিটেজের স্থান পেয়েছে বাংলার এই উৎসব। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে প্যারিসে ইন্টার গভর্নমেন্ট কমিটির ষষ্ঠদশ অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয় ‘কলকাতার দুর্গাপুজো’-কে। আর এই স্বীকৃতিকেই রাজ্যের পুরভোটে হাতিয়ার করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, বেলাঘাটার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হবে। রাজ্যের দুর্গাপুজো UNESCO -র হেরিটেজ তালিকায় জায়গা পাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করেছিলেন। সেই টুইটে তিনি লিখেছিলেন, ‘বাংলার জন্য অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত।’ এখানেই শেষ নয়, তিনি লেখেন, ‘গোটা বিশ্বের কোণায় কোণায় ছড়িয়ে থাকা বাঙালির জন্য আজ অত্যন্ত গর্বের দিন। দুর্গাপুজো উৎসব নয়, এটা একটা আবেগ যা গোটা বিশ্বের বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করে। এবার মানবসভ্যতার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় দুর্গাপুজো। এই খবরে আমরা সকলে আনন্দে আত্মহারা।’
জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে, ১ সেপ্টেম্বর শহরের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় সামিল হবেন UNESCO-র দুই প্রতিনিধি। পাশাপাশি বাংলার এই বড় উৎসব দুর্গাপুজোর জন্য শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন UNESCO-র ডিরেক্টর জেনারেল অন্দ্রে আজুলে। টুইট করে UNESCO-র দুই প্রতিনিধির শোভাযাত্রায় থাকার কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
আপনার মতামত লিখুন :