বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ শুভেন্দু অধিকারী এর আগে একাধিকবার ধামাকার কথা বলেছেন। ডিসেম্বরে বড় ধামাকা হবে বলে জানিয়েছিলেন। তার জন্য তিনটে তারিখও দিয়েছিলেন তিনি। ডায়মন্ডহারবারের সভায় গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এও বলেছিলেন যে, ধামাকা হলে, ডায়মন্ড হারবারে বিজয় উৎসব পালিত হবে। কিন্তু ওই তারিখগুলোয় কিছুই হয়নি। উল্টে এবার তৃণমূল বড় ধামাকা দিতে চলেছে। যদিও সবটাই এখন সম্ভবনার পর্যায়ে।
এবার প্রশ্ন হল, কী সম্ভবনার কথা হচ্ছে? আসলে মঙ্গলবার দুপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামকস্ট্রিটের অফিসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করলেন দুই বিজেপি বিধায়ক। এমনটাই খবর তৃণমূল সূত্রে। এই দুই বিজেপি বিধায়কের মধ্যে একজন আবার বিজেপির তারকা বিধায়ক। ওই তারকা বিধায়ক আবার তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ বলে আগেই থেকেই রাজনৈতিক মহলে একটা কথা চালু রয়েছে। এমনকি ওই তারকা বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেবেন বলে আগেও জল্পনা ছিল। ওপর বিধায়কও বিজেপির হেভিওয়েট বিধায়ক।
সূত্রের খবর এদিন বেশ কিছুক্ষণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। এদিকে, এই সাক্ষাৎ ঘিরে ইতিমধ্যেই জোরদার আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। এমনও শোনা যাচ্ছে যে, খুব তাড়াতাড়ি ওই দুই বিজেপি বিধায়ক জোড়াফুল পরিবারের সদস্য হতে চলেছেন। এই জল্পনাই এখন বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে।
তাহলে কি নিজের কথা মতো দরজা খুলতে চলেছেন অভিষেক। উল্লেখ্য, কদিন আগেই কাঁথিতে সভা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের কর্মীদের উদ্দেশে প্রশ্ন করেছিলেন, দরজাটা একটু ফাঁক করব? জবাব এসেছিল না। আসলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিষ্কার ইঙ্গিত ছিল, একাধিক বিজেপি নেতা তৃণমূলে আসার জন্য প্রস্তুত হয়ে রয়েছেন। তাহলে দরজা ফাঁক করলেন অবশেষে? সেই প্রশ্নই এখন উঠছে এই পরিস্থিতিতে। আবার গত ১ জানুয়ারি, নয়া তৃণমূল ভবনের ভিত পুজোর অনুষ্ঠানের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, পাঁচ সেকেন্ডের জন্য কেন আরও বেশি সময়ের জন্য দরজাটা খোলা যেতে পারে। কিন্তু আসল কথা হল সময়। অভিষেকের ওই মন্তব্য রাজনীতির খেলায় দেওয়া চমক বলে এড়িয়ে গেলেও, আজকের কথা কিন্তু অন্যদিকে ইঙ্গিত করছে। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে ইঙ্গিত মেলেনি।
তা কে ওই তারকা বিধায়ক? সূত্রের খবর ওই তারকা বিধায়ক পশ্চিম মেদিনীপুরের বিধায়ক। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। বিজেপির টিকিটে জিতে বিধায়কও হন। ভোটের পর রাজনৈতিক মহলের জল্পনা ছিল বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরতে চান তিনি। তাঁকে নিয়ে বিজেপি শিবিরে শুরু থেকেই একটা চাপা অস্বস্তি ছিল। আর অপরজন নাকি উত্তরবঙ্গের বিধায়ক। তিনি আবার অন্যদল থেকে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। এখন এটাই দেখার যে, অবশেষে এঁদের দলবদলের জল্পনাই সত্যি হয় নাকি!
আপনার মতামত লিখুন :