মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানে এমজি রোডে পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে ওঠে। চলে একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ পর্ব। বিজেপির তরফে প্রশ্ন তোলা হয় পুলিশের গাড়িতে যখন আগুন লাগানো হল তখন আশেপাশে কেন কোন পুলিশ ছিল না। অপরদিকে তৃণমূলের তরফে বলা হয় বিজেপি পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গাড়িতে আগুন লাগানোর মূল অভিযুক্ত সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিষেধ প্রামানিকের এক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করল তৃণমূল। আর এতেই রাজনৈতিক পারদ আরো বেশি করে চড়েছে।
তৃণমূলের পোস্ট করা ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে নিশীথ প্রামানিকের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ওই যুবক। এর পরে একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে নবান্ন অভিযানের দিন হাটে দলীয় পতাকা উড়িয়ে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সেই যুবক। এই ছবি পোস্ট করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং নিশীথ প্রামাণিককে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। যাতে ফের একবার অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। এদিকে এই নিয়ে প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করেননি বঙ্গ বিজেপির কোন নেতৃত্বই।
জানা গিয়েছে ওই ছবিতে যে যুবককে দেখা গিয়েছে তিনি কোচবিহার জেলা যুব মোর্চার সম্পাদক। তার নাম প্রীতিতোষ মণ্ডল ওরফে পুটু। অভিযুক্ত অবশ্য জানিয়েছেন নবান্ন অভিযানের দিন তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও গাড়িতে আগুন লাগানোর সঙ্গে তার কোনও যোগ নেই।
এদিকে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ছাড়াও পুলিশকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। কলকাতা পুলিশের এসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায় গুরুতর জখম অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাকে গতকাল হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আপনার মতামত লিখুন :