বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ টালিগঞ্জের পর গতকাল বেলঘরিয়ায় অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে ফের উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। এদিকে, ইডি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে যে, জেয়ার অর্পিতা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়য়ের কর্মীরা ফ্ল্যাটে টাকা রেখে আসত। তিনি এই ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিত তদন্ত জত এগোচ্ছে পরিস্থিতি ততোই জটিল হচ্ছে। এই অবস্থায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ক্যাবিনেট মন্ত্রী থাকবেন কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
এবার সেই জল্পনা আরও বাড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থর ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে ফের কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই ঘটনা দলের জন্য যথেষ্ট অসম্মানজনক। আমাদের সকলের জন্য লজ্জার। যেভাবে দলকে লজ্জার মুখে পড়তে হয়েছে, সেই দিক দল ভেবে দেখবে।’ এমনটাই জানিয়েছিলেন তিনি।
এবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে এদিন কুণাল ঘোষ টুইট করেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রীত্ব এবং দলের সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। বহিস্কার করা উচিত। বক্তব্য ভুল মনে হলে দলের সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে আমায় সব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার। সেক্ষেত্রে দলের কর্মী হিসাবে কাজ চালিয়ে যাব।’
কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি ২২ জুলাই সোনার গয়না ও বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়াও ২২ কোটি টাকার বেশি নগদ বাজেয়াপ্ত করার পর বুধবার অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দেয়। সেখান থেকে থেকে ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। এরপরেই এই বিষয়ে মুখ খুললেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের। যা ঘটেছে তা দলের জন্য কলঙ্কের এবং আমাদের সকলের জন্য লজ্জার। তিনি (পার্থ চট্টোপাধ্যায়) বলছেন কেন তিনি মন্ত্রীর পদ ছাড়বেন? কেন তিনি জনসমক্ষে বলছেন না যে তিনি নির্দোষ? এটা করতে তাঁকে কী বাধা দিচ্ছে?’ তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদকের আরও দাবি, ‘আমি আশা করি দল জনগণের উপলব্ধি বিবেচনা করে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।’
অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বেলঘরিয়ায় একটি ফ্ল্যাট থেকে বিপুল নগদ উদ্ধারের পর প্রতিক্রিয়ায় বিজেপির জাতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অবিলম্বে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজের এবং রাজ্যের অসম্মান করেছেন। তাঁকে অবিলম্বে বরখাস্ত করতে হবে। এই ঘটনাটি টিএমসি এবং রাজ্য সরকারের দুর্নীতির মাত্রা প্রমাণ করে।’
উল্লেখ্য, মন্ত্রিসভা থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণের জন্য বিরোধীদের দাবি ক্রমশ জোড়ালো হচ্ছে। এদিকে, ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁর ব্যবহৃত সরকারি গাড়ি মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় জমা দেওয়া হয়েছে। আবার তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলা-য় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রী বা দলের মহাসচিব হিসেবে পরিচয় দেওয়া হচ্ছে না। জদিও, জাগো বাংলার সম্পাদক হিসাবে এখনও তাঁর নাম রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :