বাধা হয়ে দাঁড়ালো আইনি জটিলতা। আর সেই কারণেই অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সেহগাল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারল না ইডি। সেহগালকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আবেদন খারিজ করে দিল আসানসোলের অবসরকালীন বিশেষ আদালত
শুক্রবার সেহগালকে টানা চার ঘন্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে ইডি। তাকে নিজেদের হেফাজতে নিতেছে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট করে ট্রানজিট রিমান্ডের আরজি জানায় ইডি। কিন্তু সেই আর্জি প্রথমে শুনতে চাননি বিচারক। এরপর তাকে দিল্লী নিয়ে যেতে যে ফের সন্ধ্যায় আদালতের গার্হস্থ হয় ইডি
পশ্চিম বর্ধমান জেলা আদালতের বিচারক রত্না রায় লিখিতভাবে জানিয়ে দেন অবসরকালীন আদালতের এফতিয়ার নেই এই বিষয়ে রায় দেওয়ার। তাই সেখানেও খারিজ হয়ে যায় মামলা। অর্থাৎ কোনোভাবেই অনুব্রত মণ্ডলের দেহ রক্ষীকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র পেল না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে সূত্রের খবর, দিল্লি ও কলকাতার লিগাল টিম ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে।
সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই হাইকোর্টে আবেদন জানাতে পারে ইডি। যদিও আগামী ১৫ তারিখ দুর্গাপুর জেলা ভোকেশনাল আদালত ও ২৯ তারিখ আসানসোল জেলা ভোকেশনাল আদালত খোলা থাকছে তাই ওই দুদিন ও ফের একবার সেহগালকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারে ইডি।
আসানসোলে সেহগালকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যায় ইডি আধিকারিকরা। সেখানে দীর্ঘ চার ঘন্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। ইডির অভিযোগ, কোনভাবেই সহযোগিতা করেননি সহেগাল। বরং তদন্তকারীদের আরো বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। এরপরেই আসানসোল থেকেই দিল্লির আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। দিল্লির সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরই সেহগলকে গ্রেফতারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে সেহগলকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি।
যদিও সিবিআই এর তরফে আগেই গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে সেহগলকে। এখন জেলেই রয়েছেন তিনি। সেখানে যেদিন ইডির আধিকারিকরা গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে অসহযোগিতা করায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ইডি সূত্রে খবর, আসানসোলের অবসরকালীন বেঞ্চে সেহগলকে তোলা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :