বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ কালী বিতর্কে ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের কালীকে নিয়ে করা মন্তব্যের তৈরি হওয়া বিতর্ককে এবারে সোজা রাজ্যপালের দরবার পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেলেন বিজেপি বিধায়ক।
এদিকে, মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য প্রসঙ্গে শুরুতেই দল জানিয়েছে যে, এটা সম্পূর্ণ তাঁর নিজস্ব মন্তব্য। দল এই ধরনের মন্তব্যকে সমর্থন করে না। এরপরেও আজ মা কালীর ছবি এবং প্রায় ২০০ জন সাধুকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করলেন বিরোধী দলনেতা।
এদিন রাজ্যপালের হাতে কালীর ছবি এবগ প্রতিবাদপত্র তুলে দেন শুভেন্দু অধিকারী। এই বিষয়ে রাজ্যপাল এক টুইটে জানিয়েছেন, দেবী কালী সম্পর্কে যা যা বলা হয়েছে তার প্রতিবাদ করা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এদিন রাজ্যপাল ভবনে গিয়েছিলেন মেচেদা শঙ্খনাদ মন্দিরের সভাপতি ও প্রায় দুশোরও বেশি সাধু। এদিন তাঁরা মহুয়া মৈত্রের কালী মন্তব্যে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
এদিকে, শুভেন্দু অধিকারীর এই পদক্ষেপ নিয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। সাধুদের নিয়ে এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কোনও আরাধ্য দেবদেবী বা কোনও শক্তিকে তৃণমূল কংগ্রেস অপমান করে না। কোনও আরাধ্য দেবতার ছবি কেউ যদি বিকৃত করে সেক্ষেত্রে তৃণমূল মনে করে এটা উচিত নয়। কে কাকে পুজো করবে তাতে তৃণমূল কংগ্রেস নাক গলায় না। এটা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। কদিন আগেই দিলীপ ঘোষ মা দূর্গার পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সেই বিজেপি নাটক করছে মা কালী নিয়ে? এটা হয় নাকি? রাজ্যপালের পদকে আমরা সম্মান করি। আমরা মনে করি রাজ্যপাল সবার। কিন্তু রাজ্যপাল পদে পদে প্রমাণ করে দিচ্ছেন তিনি বিজেপির দালাল। রাজভবনটা বিজেপি পার্টি অফিস।’
এদিন রাজভবনে আসা সাধুসন্তদের বক্তব্য, ‘সম্প্রতি যে ধরনের মন্তব্যগুলি করা হয়েছে, তার প্রতিবাদে আমরা রাজ্যপালের কাছে এসেছি। রাজ্যপালের কাছে আমরা ডেপুটেশন জমা দেব। রাজ্যপালের কাছে আমরা অনুরোধ করব, এমন মন্তব্য যাতে আর না করা হয়, তার জন্য যাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।’
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে কালীর ছবি উপহার দেওয়া হচ্ছে, আবার রাজভবনে সাধুদের ও কালীর ছবি নিয়ে গিয়েছে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন,’ কালীর ছবি যে কেউ যাকে ইচ্ছে দিতে পারেন। যারা কালীকে ভক্তি করেন তাদের হৃদয়ে থাকেন কালী। তারা তাঁকে রাজনীতির ময়দানে নামায় না। বিজেপি রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া। সব জিনিসের দাম বাড়ছে। তাই এখন কালীর ছবি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইছে। দিলীপ ঘোষ যখন দূর্গার পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তখন কোথায় থাকে বিজেপি?’
অন্যদিকে, এদিন রাজভবন থেকে বেরিয়ে এই প্রসঙ্গে তেমন কিছু মন্তব্য করেননি শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন, ‘রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে অনেক কিছুই করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমার বিরুদ্ধেও অনেক কিছু করার চেষ্টা করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টে দুটো থাপ্পড খেয়ে ফিরে এসেছেন। এখানে রাষ্ট্রবাদী সরকার হবে। এখানে স্কুলে গীতা পড়ানো হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :