বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজনীতির মূল স্রোতে নেই এই জুটি বর্তমানে। কিন্তু তাতে কী! তাঁদের নিয়ে আলোচনার জন্য আরও অনেক বিষয় রয়েছে। তা সে কাশ্মীর, হিমাচলে ভ্রমণ হোক, জামাই ষষ্ঠী, বা তাঁদের ফ্যাশন। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন কথা হচ্ছে শোভন-বৈশাখী জুটি নিয়ে। এই জুটিই সোশ্যাল মিডিয়ার হট টপিক।
শোভনের জীবনে পরিবর্তনে অনেকেরই মত ছিল, রাজনৈতিক জীবন থেকে হারিয়ে গেলেন বুঝি শোভন। কিন্তু না, তেমনটা নয়। এদিন আচমকাই নবান্নে হাজির হলেন শোভন-বৈশাখী। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকও করলেন তাঁরা, তেমনটাই জানা গিয়েছে।
তাহলে কি এতদিনের জমে থাকা অভিমান মুছে গেল? আজকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘নবান্নে হয়তো অনেকদিন পর এলাম। কিন্তু মমতা দি`র সঙ্গে আমার এর মধ্যেই দেখা হয়েছে। আজ মমতা দি`র সঙ্গে যে কথা হল, তাতে নানা বিষয় উঠে এসেছে। মমতা দি`র সঙ্গে কথা হবে, অনুরোধ, পরামর্শ সব থাকবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। রাজনৈতিক কথাবার্তাও যে হবে, সেটাই স্বাভাবিক।’ জানা গিয়েছে, এদিন নবান্নে প্রায় ১ ঘণ্টা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের কথা হয়। শোভন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, ‘মমতাদির লক্ষ্য বাস্তবায়িত করাই আমার কাজ।’ এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি রাজনীতি এবং তৃণমূলে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ফেরা শুধুই সময়ের অপেক্ষা?
অন্যদিকে, শোভনের পাশে দাঁড়ানো বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আজকের যে মিটিং, তা যেমন রাজনৈতিক তেমনই ব্যক্তিগতও। রাজনীতির মানুষের কাছে গিয়েছি, রাজনৈতিক আলোচনা তো হবেই। মমতা দি`র সঙ্গে শোভনের যে আলোচনা হচ্ছিল, আমি তা এনজয় করছিলাম। আমি চাই, শোভন নিজের রাজনৈতিক জীবন তাড়াতাড়ি শুরু করুক। আজ আবার আমি পুরনো শোভনকে দেখতে পেলাম। মাঝে অভিমানের একটা পর্ব ছিল। সেটা মিটে গেছে।’
উল্লেখ্য, বঙ্গ রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এভাবে আচমকা শোভন-বৈশাখীর সাক্ষাৎ রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে। তাঁদের দুজনের নতুন করে তৃণমূলে ফেরার সম্ভবনা এই বৈঠক বাড়িয়ে দিয়েছে। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আজকের বৈঠকের পর তেমনটাই কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে বিজেপিতে দিয়েছিলেন শোভন-বৈশাখী। এরপর ২০২১ সালে বিজেপিতে তাঁদের মোহভঙ্গ হয়। ওই বছরেই ১৪ মার্চ বিজেপি ছাড়েন এই জুটি। তারপর থেকে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন না শোভন- বৈশাখী। তবে, মাঝে একবার কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন শোভন। তারপর এবার সোজা নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি বাংলার এই অতি চর্চিত জুটি।
আপনার মতামত লিখুন :