বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বাংলায় একুশের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। এরপর নির্বাচনী প্রচারেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে, নির্বাচন সম্পূর্ণ হওয়ার পর, আর সেভাবে বঙ্গ রাজনীতির মঞ্চে দেখা যায়নি তাঁকে। এদিকে, বাংলায় ফের একটা নির্বাচন আসন্ন। বছর ঘুরলেই রয়েছে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে ফের একবার বাংলার রাজনীতির ময়দানে নামলেন মিঠুন চক্রবর্তী। বুধবার হেস্টিংসে বিজেপির দফতরে বঙ্গ বিজেপির বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করলেন তিনি। এদিন সঙ্গে ছিলেন সংগঠনের অন্যান্য নেতারাও।
আর এদিনই সাংবাদিক বৈঠক করে মিঠুন চক্রবর্তীকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বুধবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে কুণাল ঘোষ বলেন যে, ‘মিঠুন চক্রবর্তী আবার উদয় হয়েছে। দিদি, ভাই, বোন নিয়ে কথা বলছেন। ভাই-বোনের সম্পর্ক নিয়ে তিনি একটা কলঙ্ক। জেনে বুঝে তিনি ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করলেন। বেনজির দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন। ভোট কত বার হবে? এই তো এক বছর আগেও ভোট হল। পরেও আবার ভোট হল।’
এদিন দুর্নীতির প্রশ্নে বাংলার তৃণমূল শাসিত সরকারকে কটাক্ষ করেছেন মিঠুন। সেই একই প্রশ্নে মহাগুরুকে পাল্টা জবাব দিলেন কুণাল ঘোষ। তুলে ধরলেন সারদা ও অ্যালকেমিস্ট প্রসঙ্গ। সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ দাবি করলেন, ‘সারদার সুবিধাভোগী, অ্যালকেমিস্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। কীসের টাকা ফেরত দিয়েছেন? যতদিন রাজ্য সরকারের হাতে তদন্ত ছিল, ততদিন এক পয়সাও ফেরত দেননি। যেদিন ইডি কলার ধরেছে, সেদিন টাকা ফেরত দিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। ওঁর গ্রেফতার হওয়া উচিত। অ্যালকেমিস্টের মামলাতেই অ্য়ারেস্ট হওয়া উচিত। উনি জানেন কটা বিধানসভা, কজন সাংসদ৷ আসলে উনি বোঝাতে চাইছেন উনিই সব। শুভেন্দু ফেল।’
এরপরই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর প্রসঙ্গ টেনে ফের একবার বিজেপির দলীয় রাজনীতি নিয়েও আক্রমণ করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘তাহলে কি দিল্লি শুভেন্দুকে সাইড করতে মিঠুনকে আনলেন। বিরোধী দলনেতা আর অতিথি শিল্পী দড়ি টানাটানি করছেন।’
প্রসঙ্গত এদিনই এদিন বেলা ১২ টা নাগাদ তিনি হেস্টিংসে বিজেপির দফতরে যান। সেখানে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। এরপরই সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের একটা ব্রেকিং নিউজ দিচ্ছি। তৃণমূলের ৩৮ জন বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তার মধ্যে ২১ জন সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন আমার সঙ্গে। মুম্বইতে যখন ছিলাম, একদিন সকালে উঠে শুনি বিজেপি শিবসেনার সরকার তৈরি হবে। মহারাষ্ট্রে হতে পারলে এখানে হতে পারে না কেন?’ পাশাপাশি তিনি এও বলেছেন যে, ‘কেবল ঈশ্বরই আমাদের রাজ্যকে বাঁচাতে পারেন।
এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘উনি কাল্পনিক সংখ্যা বলছেন৷ বিজেপির অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীবাজীর জন্য তা Xকে আনা হয়েছে। অ্যালকেমিস্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বাইরে থাকে কি করে? বিজেপির বিরোধী দলনেতা থেকে শুরু করে মুখপাত্র কেউ মান্যতা দিচ্ছেন না। এটা পুরনো মিঠুন চক্রবর্তী নন৷ এই মিঠুন বাংলার মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।’
আপনার মতামত লিখুন :