বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দমদম ও বিধাননগর স্টেশনের মাঝে রেল লাইনের ধারে বসে মোবাইল গেমে মত্ত ছিলেন যুবক। সেই সময় পুলিশ তাড়া করলে, রেললাইন ধরে দৌড়তে শুরু করেন ওই যুবক। এদিকে, সেই সময় উল্টোদিক থেকে ট্রেন চলে আসায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে যায়। ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় ওই যুবকের।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতে উত্তেজনা ছড়ায় পাতিপুকুর এলাকায়। রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পাতিপুকুর এলাকা। স্থানীয়দের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, পুলিশ তাড়া করতেই দিগভ্রান্তের মতো দৌড়াচ্ছিলেন ওই যুবক। তাতেই পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় যুবকের। এরপরই স্থানীয় মানুষরা পুলিশের উপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় ইট। পাশাপাশি রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকার বাসিন্দারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম পুষ্পেন্দু তরতরি।
আবার স্থানীয়দেরই একাংশের বক্তব্য, কয়েকজন যুবক রেললাইনের ধারে বসে মদ খাওয়ার পাশাপাশি মোবাইলে গেম খেলছিলেন। সেই সময় পুলিশ ধাওয়া করলে পালাতে শুরু করেন ওই যুবকরা। এদিকে আচমকাই তখন উল্টোদিক থেকে ট্রেন এসে পড়ে, ট্রেনের ধাক্কায় পুষ্পেন্দু পড়ে গিয়ে লাইনের তলায় চলে যান। এরপরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশকে লক্ষ্য করে লাইনের ধারের পাথর ছুঁড়তে শুরু করেন স্থানীয় মানুষজন। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জিআরপি এবং লেকটাউন থানার পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে যান পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তারা।
তাঁরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। আবার স্থানীয়দের একাংশের তরফে অন্য অভিযোগও করা হচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, লাইনের ধারে কয়েকজন যুবক গেম খেলছিলেন। সেই সময় দু’জন সিভিল ড্রেসে ও ২ জন উর্দিধারী পুলিশ পুষ্পেন্দুদের কাছে জরিমানার টাকা দাবি করেন। কিন্তু সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন ওই যুবকেরা। তাঁরা পালাবার চেষ্টা করেন। তখনই তাঁদের ধাওয়া করে পুলিশ। সেই সময় ট্রেন এসে যাওয়ায় ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে, স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, রেল লাইনের ওপরে কোনও ঘটনা ঘটলে, তা রেল পুলিশের অধীনে। লেকটাউন থানার পুলিশ কীভাবে রেল পুলিশের এলাকায় জরিমানা করতে পারে? স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, ‘পুলিশ তাড়া করেছে বলেই এরকমটা হল। না হলে ছেলেটাকে মরতে হত না।’
আপনার মতামত লিখুন :