বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ পরনে পাজামা-পাঞ্জাবী, ফ্রেঞ্চ কাট দাড়ি এইভাবেই তাঁকে দেখতে অভ্যস্ত ছিল রাজ্যে মানুষ। কিন্তু এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে কাণ্ডে জড়িয়ে গত কয়েকদিনে ঝড় বয়ে গেছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিবের উপর দিয়ে। প্রথমে ইডি-র হাতে গ্রেফতারি, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বারবার সিজিও কমপ্লেক্স থেকে জোকা ইএসআই হাসপাতাল যাতায়াত, কোর্ট-এই সব মিলিয়ে রীতিমতো ‘ক্লান্ত’ ও ‘বিধ্বস্ত’ রাজ্যের প্রাক্তন এই হেভিওয়েট মন্ত্রী। কিন্তু জেল হেফাজতে গিয়ে ধীরে ধীরে নিজেকে মানিয়ে-গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।
তাই এবার একদিনের টানাপোড়েন হওয়া গালের খোঁচা খোঁচা দাড়ি হয়েছিল। গত কয়েকদিনে তা নিয়ে ভাবার অবকাশ বা মানসিক পরিস্থিতি ছিল না সবসময় পরিপাটি থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এখন তিনি মানিয়ে নিচ্ছেন। নিজের মতো করেই নিজেকে গুছিয়ে নিচ্ছেন। তাই খোঁচা খোঁচা দাড়ি সরিয়ে স্বমহিমায় ফিরলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে ব্রেকফাস্টের পর দাড়ি কাটার অনুরোধ করেন পার্থ। তাঁর সেই অনুরোধ অনুযায়ী, আসেন জেলের নাপিত।
সূত্রের খবর, নাপিত তাঁর কাছে জানতে চান ক্লিন সেভ করে দেবেন কিনা। তবে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন যা, আগে যেমন ছিল তেমনই কাট হবে। অর্থাৎ আগেই সেই ফ্রেঞ্চ কাট দাড়িতেই ফিরছেন পার্থ। সূত্রের খবর, এর জন্য নাপিতকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশও।
এদিকে, জেলে এসে খাওয়া নিয়েও সমস্যায় পড়েছেন পার্থবাবু। নিরামিষ একেবারেই পছন্দ নয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়। খেতেও পারেন না নিরামিষ। মাছ, মাংস ছাড়া তাঁর একেবারেই চলে না। বিশেষ করে মাংস ছাড়া তাঁর একেবারেই চলে না। রোজ তাঁকে আমিস খাবার দেওয়া হোক এমনটাই চাইছিলেন। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় জে, জেলের নির্দিষ্ট রুটিনের বাইরে কিছু করা যাবে না। কোনও বাড়তি সুযোগ দেওয়া যাবে না। জেলের নিয়ম অনুযায়ী, বন্দীদের একদিন মাংস, একদিন মাছ, একদিন ডিম এবং একদিন সয়াবিন দেওয়া হয়।
এদিকে, সূত্রের খবর জেলে বসেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে আইনি সাহায্য দিতে চেয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিজের আইনজীবীদের অর্পিতাকে আইনি সাহায্য দেওয়ার কথা বলেওছিলেন তিনি। কিন্তু অর্পিতা সেই সাহায্য নিতে অস্বীকার করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :