বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সম্প্রতি যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ফিরেছেন বাংলার ডাক্তারি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ারা। আজ ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের জন্য একাধিক সুযোগ-সুবিধার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের পড়াশোনা যাতে ঠিকভাবে নির্বিঘ্নে সম্পূর্ণ হয়, সেই আশ্বাসই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে, ‘পড়ুয়াদের কোনও সমস্যা হলে, রাজ্য সরকার তা বুঝে নেবে। ন্যাশনাল নেদিক্যাল কমিশন যদি আপত্তি করে আমি তোমাদের নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে দরবার করব। তোমাদের কোনও বছর নষ্ট হবে না। আমার উপর ভরসা রাখো। ধৈর্য রেখো, মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে না।’
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়ারা তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ‘ইন্টার্নদের জন্য আমরা এখানে সরকারি কলেজে কাজ করার সুযোগ করে দেব। তাঁদের স্টাইপেন্ডও দেব। একটা কাউন্সেলিং হবে। তার ভিত্তিতে সুযোগ পাবেন সকলেই।’ এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের জন্য নতুন করে পড়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে বলেও জানান মমতা। তিনি জানিয়েছেন, সেক্ষেত্রে প্রাইভেট কলেজগুলিতে তাঁদের জন্য পড়ার সুযোগ মিলবে। স্কলারশিপের সুযোগও করে দেবে রাজ্য সরকার।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন ফেরত ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের এখানে পড়ার ব্যবস্থা হবে। এর পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের এখানে পড়ার ব্যবস্থা হবে। ডাক্তারি পড়ুয়ারা এখানকার সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ইন্টার্নশিপও করতে পারবে। সেই সঙ্গে তাঁরা পাবে স্টাইপেন্ডও।
অন্যদিকে, চতুর্থ এবং পঞ্চম বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে চিঠি দেওয়া হবে তাঁদের ইন্টার্নশিপের অনুমতি চেয়ে। এছাড়া প্রথমবর্ষে কেউ ভর্তি হতে চাইলে, তাঁদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে। পাশপাশি দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষের মেডিক্যাল পড়ুয়াদের জন্যও মেডিক্যাল কমিশনের অনুমতি নেওয়া হবে। অনুমতি মিললে, তাঁদের বেসরকারি কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী এও জানিয়েছেন যে, অনুমতি মিললে, রাজ্য সরকারের যে রেট পায় সেই রেটেই ভর্তির ব্যবস্থা করা হবে। পড়ুয়াদের কোনও বাড়তি টাকা দিতে হবে না। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার স্কলারশিপ হিসেবে অর্ধেক টাকা দেবে।
এদিন বেশ কিছু মেডিক্যাল পড়ুয়া মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার বিমানে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে এলেও সেভাবে কিছুই করেনি। উল্টে রাজ্য সরকার তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে দিল্লি-মুম্বই থেকে বিমানের খরচ দিয়ে কলকাতায় এনেছে। উল্লেখ্য, রাজ্যের তরফে প্রতিনিধি পি বি সেলিম সব রকম ব্যবস্থা করেছেন। থাকা-খাওয়া থেকে শুরু করে গাড়ি করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া সব কিছু করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। এছাড়াও যারা ইউক্রেনে গিয়ে কাজ হারিয়েছেন, তাঁদেরও কাজের ব্যবস্থা এখানে করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আপনার মতামত লিখুন :