বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আবারও বড় সাফল্য বাংলার ঝুলিতে। এবার আন্তর্জাতিক স্তরে ন্যূনতম দক্ষতার মাপকাঠিতেও দেশের মধ্যে সেরা বাংলার পড়ুয়ারা। National Council of Educational Research and Training (NCERT)-এর সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, দেশের মধ্যে এই মাপকাঠিতে সবার প্রথমেই রয়েছে বাংলার পড়ুয়ারারা। আর এই গর্বের কথা, স্বীকৃতির কথা টুইট করে শেয়ার করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই স্বীকৃতিতে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত তিনি।
এই বিশেষ স্বীকৃতির হাত ধরে ফের একবার এগিয়ে গেল বাংলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে রবিবার সকালেই এই কথা জানিয়েছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘অত্যন্ত আনন্দ এবং গর্বের সঙ্গে আমি জানাচ্ছি দেশের মধ্যে ফের এক নম্বর স্থান অধিকার করেছে বাংলা। আন্তর্জাতিক স্তরে ন্যূনতম দক্ষতার মাপকাঠিকে ছাপিয়ে গিয়েছে বাংলার ছাত্রছাত্রীরা। দেশের মধ্যে এই দক্ষতার তালিকায় সেরা এ রাজ্যের পড়ুয়ারা। এক অনন্য নজির গড়েছে তারা। সকল ছাত্রছাত্রীকে, তাদের অভিভাবক এবং শিক্ষামহলকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন।’
জানা গিয়েছে, এই সমীক্ষা করেছে ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং বা NCERT। আর এই সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। অন্যদিকে, শিক্ষক দিবসে বিশ্ব বাংলা মিলনমেলা প্রাঙ্গণে বিশেষ অনুষ্ঠানে রাজ্যের শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, ‘একটা করে ক্লাস রাখুন নৈতিক চরিত্র গঠন নিয়ে।’
এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এর জন্য বিশেষ সিলেবাস গঠন করতে হবে। পাশাপাশি এই বিষয়ে যাঁরা দক্ষ, সেইসব অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটিও গঠন করার কথাও বলেছেন তিনি। হবু শিক্ষকদের জন্যও খুশির খবর শুনিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে সব মিলিয়ে প্রায় ৮৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। আন্দোলনরত হবু শিক্ষকদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘যাঁরা ন্যায়বিচার পাননি, তাঁরা আমাদের কাছ থেকেই ন্যায়বিচার পাবেন।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কয়েকজন ছেলেমেয়ে রাস্তায় বসে ছিল। তখনকার শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, এদের নম্বর পারমিট করছে না। তা-ও আমি বলেছিলাম, ব্যবস্থা করে দিতে।’
আর পড়ুয়াদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বার্তা, ‘আমাদের দেশের ইতিহাস, ধর্মনিরপেক্ষতাকে জানতে হবে। শিক্ষকরা আমাদের গর্ব। বাইরে লেখাপড়া করে সবাই এখানে ফিরে আসুক।‘ এখানেই শেষ নয় মুখ্যমন্ত্রী জানান, গত ১১ বছরে রাজ্যে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৫১টি কলেজ হয়েছে। পাশাপাশি দু’লাখ ৬৩ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক পদে নিয়োগ হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘এত বড় ডিপার্টমেন্ট চালানো মানে একটা রাজ্য সরকার চালানোর মতো ব্যাপার। এত বেশি সমস্যা। এত বেশি স্পর্শকাতর। এত বেশি সংবেদশীল। আবার এত বেশি সাফল্যও আছে।’
আপনার মতামত লিখুন :