বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ক্রমশ বাড়ছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। আর এর জেরে এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় সবজি ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে যাওয়ার খরচ বেড়েছে। এই কারণেই আকাশছোঁয়া হয়েছে সবজি ও ফলের দাম। এই পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের কাছে ন্যায্য ও কম দামে সবজি ও ফল পৌঁছে দিতে বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি সুফল বাংলার মাধ্যমে আরও পরিষেবা বাড়ানোর কথা বললেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান যে, সুফল বাংলার দোকান আছে মোট ৩২২ টি। এছাড়াও ৫০ টি স্টল আছে জেলায়। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট নির্দেশ দেন যে, এই সুফল বাংলার স্টলের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। স্টলের সংখ্যা ৩৩২ থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টি করতে হবে। সুফল বাংলার স্টল বাজারে বাজারে দাঁড়াবে প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত। এরপর ফের দুপুর ৩ টে থেকে ৫ টা পর্যন্তও সুফল বাংলা স্টল খোলা থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, আগামী দিনে আরও স্টল খোলা হবে। এর কারণ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী জানান যে, বাজার থেকে সুফল বাংলার স্টলে জিনিসের দাম অনেক কম।
এদিকে, আজ মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারকে মূল্যবৃদ্ধির কারণে আক্রমণ করে বলেন যে, ‘পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের পর রিটার্ন গিফ্ট হিসেবে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে, রান্নার গ্যাসের দাম একলাফে ২৫০ টাকা, জরুরি ওষুধের দাম বেড়েছে ১১ শতাংশ’।
শুধুমাত্র সুফল স্টলের সংখ্যা বাড়ানোই নয়, বাজারে নজরদারি আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। টাক্স ফোর্সের সদস্য, এনফোর্সমেন্ট বিভাগ, পুলিস-সহ রাজ্যের সমস্ত দফতরকেই নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
পেট্রোল- ডিজেলর দাম কমানোর কোনও লক্ষণ নেই। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। মধ্যবিত্তের কপালে হাত। এতে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণেই নবান্নে টাক্স ফোর্স, কৃষি বিপণন, পরিবহণ, সেচ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রী ও আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি।
এদিন বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, `জিনিসপত্রের দাম এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, রান্নাঘরে আগুন জ্বলছে। সাধারণ মানুষের হাত থেকে সবকিছুই বেরিয়ে যাচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধ কেন্দ্রের বিষয়। কেন্দ্রীয় সরকার কিছু তো করছেই না, উল্টে ১৫ দিনে ১৬ বার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। পেট্রোল-ডিজেল-রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছে। ৮০০ জীবনদায়ী ওষুধের দাম বেড়েছে। টোল ট্যাক্সও বাড়িয়ে দিয়েছে`। সঙ্গে যোগ করেন, `আমরা যখন নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলাম, তখন বলেছিলাম, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করব, MSME করব, কৃষকদের টাকাটা বাড়িয়ে দেব। আমার জেতার পর ৩ মাসের মধ্যে কথা রেখেছি।’
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকারের সুফল বাংলার স্টলে আলু, পেঁয়াজ, বাঁধাকপি, আদা, শশা, কলা-সহ দরকারি জিনিসও রাখা হবে। পাশাপাশি, রমজান মাস চলছে বলে আলাদা করে খেজুরও রাখা হবে। এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রী এদিন বিভিন্ন খোলা বাজারে ব্যবসায়ীদের সাহায্যের কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যদি ব্যবসায়ীরাও একটু নজরে রাখেন, তা হলে ভাল হয়।’ তিনি বলেন, ‘বেশি কড়াকড়ি নয়, তবে নজর রাখতে হবে, কেউ যে বেআইনি ভাবে বেশি দামে জিনিস বিক্রি করতে না পারেন। পুরো বিষয়টিতে যাতে সাধারণ মানুষ সুবিধা পান সে দিকেও নজর রাখতে বলেন।’
আপনার মতামত লিখুন :