বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ‘কালী’ ছবি নিয়ে মন্তব্যের জেরে দলের নিন্দার মুখে আগেই পড়েছিলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সম্প্রতি ডকুমেন্ট্রি ফিল্মমেকার লীনা মানিমেকালাইয়ের ‘কালী’ সিনেমার পোস্টার নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। পোস্টারে মা কালীর বেশে এক মহিলাকে দেখা গিয়েছে। তাঁর হাতে একটি সিগারেট। এই আবহে মঙ্গলবার এক সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে ‘কালী’ সিনেমার পোস্টার বিতর্ক নিয়ে মহুয়াকে প্রশ্ন করা হয়। সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি তথ্যচিত্রটির পরিচালক লীনা মণি মণিমেকলেইয়ের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মহুয়া। এরপরই তাঁর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সূত্রপাত। যদিও এই মন্তব্যে দল তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি।
এদিকে, মহুয়ার এই মন্তব্য নিয়ে নতুন করে রাজ্যের শাসকদলকে কোণঠাসা করতে আসরে নেমে পড়ে বিজেপি। এবার অতি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর গলাতেও শোনা গিয়েছে মা কালীর প্রসঙ্গ। সেই প্রসঙ্গ টেনে এবার নাম না করে টুইটে মোদীকে কটাক্ষ করলেন মহুয়া মৈত্র।
তৃণমূল সাংসদ এদিন টুইট করে লেখেন, ‘বাংলার বিজেপির ট্রোল ইনচার্জকে বলছি আপনার প্রভূকে বলবেন যে বিষয়ে ধারনা নেই সেই বিষয়ে মন্তব্য করবেন না।’ পাশাপাশি মোদীর সেই বহু চর্চিত দিদি ও দিদি’র প্রসঙ্গও মনে করান তিনি। দিদি ও দিদি বলে কী হয়েছিল তার কথা মনে করিয়ে দেন মহুয়া। আর এবার মা ও মা ধ্বনি। আর এর ফল যে কী হতে পারে, তাও পরোক্ষে বুঝিতে দিতে চেয়েছেন মহুয়া মৈত্র।
এদিকে, মহুয়ার এই নতুন টুইট কালী প্রসঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করল। এবার জেনে নেওয়া যাক ঠিক কী বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। স্বামী আত্মস্থানন্দর জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মোদী বলেন, ‘আজকের দিনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে গিয়ে কত স্মৃতি ভিড় করে আসছে। আমি নিজেকে ভাগ্যবান এবং আর্শীবাদধন্য মনে করি যে ওঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। ওঁর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সঙ্গে থাকতে পেরেছিলাম।’
এরপরই তিনি তাঁর মন্তব্যে মা কালীর প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘রামকৃষ্ণদেব মা কালীর উপাসক ছিলেন। মায়ের পায়েই অর্পণ করেছিলেন নিজের সারা জীবন। তিনি বলতেন, এই বিশ্ব চরাচরে ব্যাপ্ত মা কালীর চেতনা । মায়ের এই চেতনাই বাংলার কালীপুজোয় দেখা যায়। এই চেতনাই বাংলা ও গোটা দেশের আস্থার মধ্যে নিহিত। এই চেতনা ও শক্তিই নিহিত ছিল শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব এবং স্বামী বিবেকানন্দের মতো যুগপুরুষের মধ্যে। স্বামী বিবেকানন্দের মতো বিরাট মাপের মানুষও মা কালীর সামনে শিশুর মতো হয়ে যেতেন।’ এখানেই শেষ নয়, তাঁর কথায়, ‘যখনই বেলুড় মঠ যাই, গঙ্গার পাড়ে বসি, দক্ষিণেশ্বরে মা কালীর মন্দির দেখি গঙ্গার পাড়ে, একাত্ম বোধ করি।’
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে তুলে ধরে মহুয়াকে আক্রমণ করে অমিত মালব্য টুইটে লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভক্তিভরে মা কালীর কথা বলছেন। অন্যদিকে, তৃণমূলের এক সাংসদ মা কালীকে অপমান করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মন্তব্যের প্রতিবাদ করার বদলে তাঁকে রক্ষা করছেন।’
অমিত মালব্যের এই টুইটের পরিপ্রেক্ষিতেই টুইটে তাঁকে ও প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা জবাব দিলেন মহুয়া মৈত্র।
আপনার মতামত লিখুন :