1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

অনলাইন গেমে কয়েক কোটির প্রতারণা! গার্ডেনরিচকাণ্ডে গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার আমির খান

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২, ১২:২০ পিএম

অনলাইন গেমে কয়েক কোটির প্রতারণা! গার্ডেনরিচকাণ্ডে গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার আমির খান
অনলাইন গেমে কয়েক কোটির প্রতারণা! গার্ডেনরিচকাণ্ডে গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার আমির খান

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ গার্ডেনরিচে খাটের তলা থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল চলতি মাসে। মাত্র সপ্তাহ দুই আগেই। সেইসময় থেকে পালিয়ে বেরালেও শেষরক্ষা হল না। অবশেষে পুলিশের জালে অভিযুক্ত আমির খান। ব্যবসায়ী আমির খানকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। 

জানা গিয়েছে, গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ব্যবসায়ী আমির খানকে। চলতি মাসে তার বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছিল ১৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিল আমির খান। শেষে ভিন রাজ্যে ধরা পড়ল অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, ট্রানজিট রিমান্ডে তাকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে। আজই তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হবে। 

গত ১০ সেপ্টেম্বর সকালে গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল রোডের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়িতে ইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকরা হানা দেন। বেশ কিছুক্ষণ তল্লাশির পর উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকা। সারাদিন ধরে চলে টাকা গোনার কাজ, রাত ৯ টা নাগাদ টাকা গোনার কাজ শেষ হয়। জানা যায় যে, উদ্ধার হওয়া টাকার মোট পরিমাণ ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা।

সেই ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় অভিযুক্ত আমির খান। তার খোঁজে শুরু হয় পুলিশি তল্লাশি। সেই তাল্লাশিতে এবার মিলল সাফল্য। এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত, এই মুহূর্তে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত আমিরকে জেরা করেই সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

কীভাবে চলত প্রতারণা? গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে মোটা রোজগারের টোপ দিয়ে শিকার ধরা হয়। প্রথম ধাপে অত্যন্ত সহজ কিছু প্রশ্ন বা ধাঁধা, যার সমাধান করলেই বড় অঙ্কের টাকা। স্বাভাবিকভাবেই ছেলেমেয়েরা অ্যাপের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ফাঁদে পা দিত। এরপর অ্যাপের পক্ষ থেকে হাজার পাঁচেক টাকা জেতার লোভ দেখানো হতো। কিছু টাকা খুব সহজে জিতে নেওয়ার পর, অনেকেই ফাঁদে পা দিয়ে পরের ধাপে পা বাড়াত আর সর্বস্বান্ত হতো।

এদিকে, অ্যাপের তরফে জানানো হতো, গোড়ায় বেশি টাকা খাটালে পরে আয়ের পরিমাণ আরও বাড়বে। এই কথায় শিকার লোভের বশবর্তী হয়ে মোটা টাকা দিয়ে দিলেই ব্যস! স্বয়ংক্রিয়ভাবেই অ্যাপ ডিঅ্যাক্টিভেটেড হয়ে যেত, খিলাড়ির আর অ্যাপে ঢোকার উপায় থাকে না। তাঁর টাকা আত্মসাৎ করে অ্যাপওয়ালা হাওয়া।

উল্লেখ্য, ইডি সূত্রের দাবি, গোটা দেশজুড়ে এই প্রতারণার জাল ছড়ানো রয়েছে। এই পথে অর্জিত টাকাই গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়িতে জমা হয়েছে। গোয়েন্দাদের প্রাথমিক অনুমান, টাকাগুলো ধীরে ধীরে অন্য জায়গায় সরানোর বা অন্য কিছুতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা ছিল।

 

আরও পড়ুন