বরাবরই নিজের বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা রাখার জন্য প্রশংসা করিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার ফের একবার স্কুল সার্ভিসের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেন তিনি। এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বিচারপতি জানান, দুর্নীতি করে স্কুল সার্ভিস কমিশনে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের সকলের চাকরি যাবে।
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই মন্ত্রী কন্যা সহ তৃণমূলের নেতা অনুব্রত মণ্ডলের কন্যার চাকরি গিয়েছে আদালতের নির্দেশে। এছাড়াও টেট পাস না করেই চাকরি পেয়েছেন এমন বহু লোকেরও চাকরি গিয়েছে। বেতন ফেরত এর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পরেশ অধিকারীর কন্যাকে। এছাড়াও যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও যারা এখনো নিয়োগপত্র পাননি তাদেরকে আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যেই ইন্টারভিউ এর জন্য ডেকেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এই একগুচ্ছ পদক্ষেপ এর মধ্যেই ফের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কড়া হতে শোনা গেল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে।
এদের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সাফ জানান, "তারা দুর্নীতি করে ঢুকেছে তাদের ধরতে পারলেই প্রত্যেকের চাকরি যাবে। ফলে যারা বেনিয়মের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন তারা যেন একেবারেই নিশ্চিন্তে না থাকেন।" নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এবার নিজের সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, "মুড়ি মূরকির মতো দুর্নীতি হয়েছে নিয়োগ নিয়ে। তাই মুড়ি মুরকির মতো সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি"।
তবে সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রেও যদি কোনরকম গাফিলতি দেখেন তিনি তাহলে সেক্ষেত্রেও কোনোভাবেই তা বরদাস্ত করা হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যখন একের পর এক অভিযোগ জমা পড়েছিল তখন তার নির্দেশ এই ইডি, সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়,এসপি সিনহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্যদের মতো রাঘব বোয়ালরা। তাই রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি প্রশমন করতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে কোনোভাবেই কোন কিছুর সঙ্গে আপোষ করবেন না তার এদিনের বার্তায় কার্যত তা স্পষ্ট।
আপনার মতামত লিখুন :