শিক্ষকদের জন্য সুখবরের ধারা অব্যাহত। নিয়োগ নিয়ে সুখবর শোনালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই ১৮৭ জনকে নিয়োগ পত্র দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর আরও ২২জনকে চাকরি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। মূলত টেট পরীক্ষার প্রশ্ন পত্রে ভুল রয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই নিয়োগের তালিকায় আরও ২২ জনের নাম যুক্ত করার নির্দেশ দিলেন তিনি। এই নিয়ে তিন দফায় মোট ২৭২ জনকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রাথমিক পর্ষদের ভুলে ২৩ জন চাকরি পাননি বলে অভিযোগ উঠেছিল। এই নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। করেছিলেন জনৈক এক চাকরিপ্রার্থী। এরপর এই অভিযোগ মেনেও নিয়েছিল পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। এমনকি তারা নিজেদের ভুলও স্বীকার করেছিল। তা সত্ত্বেও নিয়োগের বিষয়টি ঝুলেই ছিল। এরপর এদিন এ বিষয়েই রায় শোনালো কলকাতা হাইকোর্ট।
মামলাকারীরা আদালতে অভিযোগ করেছিলেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ভুল ছিল। কারণে চাকরিপ্রার্থীরা ছয় নম্বর কম পেয়েছিলেন। আর তার জেরেই তাদের চাকরি আটকে গিয়েছিল। এরপর গত বছর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ স্বীকার করে নেয় তাদের ভুলের জন্যই ওই ২৩ জন চাকরি প্রার্থী ৬ নম্বর পাননি। তবে ভুল স্বীকার করলেও নিয়োগ নিয়ে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কারণ এক্ষেত্রে পর্ষদের যুক্তি ছিল, সেই মুহূর্তে কোন শুন্যপদ ছিল না।
এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৬৫ জনকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন, আগামী ২৬ নভেম্বর এর মধ্যে ৬৫ জন চাকরি প্রার্থীর চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। একইসঙ্গে তিনি জানান এই ধরনের যত মামলা আসবে সেই সমস্ত কিছু বিবেচনা করে দেখবে কলকাতা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, ২৩ জন, ৫৪ জন, ১১২জন ও ৬৫ জনের পর এই দফায় নতুন করে আরও ২২ জনকে নিয়োগ করার নির্দেশ দিলেন তিনি।
এদিকে, এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আরও জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়া আদালতের নির্দেশ মত বাস্তবায়িত হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। যদি দেখা যায় কোনো ভাবে পর্ষদ নির্দেশ মানেনি তাহলে সেক্ষেত্রে ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে।
এদিকে বিগত মামলার প্রেক্ষিতে আগেই ১৮৭ জনকে চাকরিতে নিয়োগ করা নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই মতো চলতি মাসে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ১৯ সেপ্টেম্বর আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র ভবনে তাদের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়।
আপনার মতামত লিখুন :