বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যের একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে। আর এই ধর্ষণের ঘটনাগুলিকে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজনীতি উত্তাল। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি রাজ্যে ঘটে যাওয়া চার-চারটি ধর্ষণ মামলায় তদন্তের ভার বর্তাল আইপিএস দময়ন্তী সেনের উপর। এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সিনিয়র আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেনের নজরদারিতে হবে মাটিয়া, মালদহ-সহ ৪ টি ধর্ষণের তদন্ত।
মাটিয়া, ইংরেজবাজার, দেগঙ্গা ও বাঁশদ্রোণীর ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। মামলাকারীদের পক্ষ থেকে দময়ন্তী সেনকে চেয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়। রাজ্যের পক্ষ থেকে আইপিএস সুমনবালা সাহুর নাম প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু অবশেষে আদালত দময়ন্তী সেনকেই এই ধর্ষণ মামলাগুলির তদন্তের জন্য বেছে নেয়।
এদিন শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ঘটনার দিকে আলাদা করে নজর রাখছি। যদি কোনও ঘটনায় আলাদা করে কোনও এজেন্সি বা কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্তের প্রয়োজন পড়ে, সেটাও আমারা করব। এই ধরনের ঘটনায় আমি বাকরুদ্ধ। আগে দিল্লি বা দেশের অন্য জায়গা থেকে এই ধরনের অভিযোগ পাওয়া যেত।’ উল্লেখ্য, ২০ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে রাজ্যকে।
পাশাপাশি অন্যদিকে, রাজ্যকে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘পরিকাঠামো থাকার পরেও কেন এই ঘটনা? কেন বারবার একই ধরনের ঘটনা ঘটছে?’ উত্তরে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, "এই রাজ্য মহিলাদের জন্য অন্যতম সুরক্ষিত রাজ্য। আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছি।" আগামী ২০ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে দময়ন্তী সেন কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল কমিশনার। এর আগে পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণ মামলায় তিনি তদন্ত করেছিলেন। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী পার্কস্ট্রিট ধর্ষণ কাণ্ডকে সাজানো ঘটনা বললেও, দময়ন্তী সেন তদন্ত রিপোর্টে ধর্ষণের কথা উল্লেখ করেছিলেন। যে কারণে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর রোষের মুখেও পড়েছিলেন। তাঁকে অপসারিতও করা হয়েছিল। সেই ঘটনার ঠিক ১০ বছর পর আবার সেই রাজ্যের একাধিক ধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্তভার পেলেন দময়ন্তী। এদিন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, এই দায়িত্ব না নিতে চাইলে দময়ন্তী সরাসরি আদালতকে জানাতে পারেন। উল্লেখ্য, এই চারটি ধর্ষণের ঘটনার মধ্যে হাঁসখালির ঘটনা নেই।
আপনার মতামত লিখুন :