বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আরও বেশি করে বাংলার মানুষের পাশে দাঁড়াতে নানা সামাজিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প এনেছে রাজ্যের তৃণমূলশাসিত সরকার। কিন্তু বেশি করে নতুন নতুন সামাজিক প্রকল্প এলেও, খামতি রয়ে গিয়েছে অন্যদিকে। নতুন শিল্প, কর্মসংস্থান তৈরিতে ফাঁক থেকে গেছে। এমনটাই মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই খামতি পূরণের উদ্দেশ্যে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে তৃতীয়বার ক্ষমতা এসে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
সেই উদ্দেশ্যেই এবার শিল্পায়নের জন্য আইন করে প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ করার কথাও উঠে এল মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। এদিন টিটাগড়ের ওয়াগন কারখানার ২৫ বছরের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে হিন্দুস্তান মোটরসের পড়ে থাকা ৭০০ একর জমি অধিগ্রহণের কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, বাংলায় এই প্রথমবার মেট্রোর কোচ তৈরি হচ্ছে। ইটালির এক সংস্থা এই কোচ তৈরি করবে। কারখানায় তৈরি হবে প্যাসেঞ্জার কোচও। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ভারচুয়ালি সেই কারখানার উদ্বোধনও করলেন। এদিন এই অনুষ্ঠানের মঞ্চেই তাঁর বক্তব্যে প্রকাশ পেল আক্ষেপের সুর। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক সামাজিক প্রকল্প করেছি। কিন্তু আমরা যেটা করতে পারিনি তা হল আরও নতুন করে অনেক-অনেক শিল্প এবং কর্মসংস্থান।’
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী এও দাবি করেন যে, দেশে যখন ৪০ শতাংশ বেকারত্ব বেড়েছে, সেই সময় এ রাজ্যে বেকারত্ব কমেছে ৪৫ শতাংশ। বেকারত্ব কমার পাশাপাশি রাজ্যে ২০০ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, ৫২১ টি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ক্লাস্টার তৈরি হয়েছে বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রী এও জানিয়েছেন যে, রাজ্যে শিল্পক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়েছে ১৫ লক্ষ কোটি টাকা। হুগলি এলাকাতেও প্রচুর পরিমাণে শিল্প তৈরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হিন্দুস্তান মোটরসের প্রায় ৭০০ একর জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। বাম আমলে এই জমি দেওয়া হয়েছিল হিন্দুস্তান মোটরসকে। সেই জমি এখনও কাজে ব্যবহার হয়নি, পড়ে রয়েছে বলেও আক্ষেপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাম আমলে ওদের ৭০০ একর জমি দিয়েছিল। কিন্তু তারা চেন্নাইতে বিনিয়োগ করেছে। ফলে জমি পড়ে রয়েছে।’ এবার সেই জমি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজ্য সরকার অধিগ্রহণ করবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি রাজ্য মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে এই বিষয়ে বলেন, ‘এই জমির ইতিহাস দেখে নাও। আইন করে রাজ্য এই জমি নেবে। দরকারে আদালতে যাবে রাজ্য। আইনি লড়াই করবে। কোর্টকে বলবে, বেকারদের চাকরি দিতে চাই। তাই এই জমিতে শিল্প হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :