বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় এবার ৯৮ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিল কলকাতা উচ্চ আদালতের সিঙ্গেল বেঞ্চ। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ এমনটাই নির্দেশ জারি করেছে। বেতন বন্ধের পাশাপাশি ওই ৯৮ জনের স্কুলে প্রবেশের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে ওই ৯৮ জন কর্মীকে গ্রুপ-ডি কর্মী হিসেবেই গণ্য করা হবে না। এবার থেকে স্কুলেও যেতে পারবেন না তারা। আদালতের নির্দেশ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা স্কুল পরিদর্শককে। এছাড়াও আদালত সিবিআইকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে সমস্ত তথ্য জোগাড় করে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে।
এক্ষেত্রে ২০১৬ সালে গ্রুপ-ডি পদে ৯৮ জনের নিয়োগের ক্ষেত্রে যে হাই পাওয়ার কমিটি গঠন করা হয়েছিল তার প্রত্যেকটি সদস্যকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই। ওই কমিটির সদস্যদের তালিকায় রয়েছেন এস আচার্য (পার্সোনাল সেক্রটারি), পি কে বন্দ্যোপাধ্যায় (OSD MIC), একে সরকার ও টি পাঁজা। এনাদের প্রত্যেককেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবারই উপস্থিত হতে হবে সিবিআই-এর অফিসে। হাইকোর্ট জানিয়েছে, নির্দেশ অমান্য করলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এই উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলায় শান্তিপ্রসাদকে নিজাম প্যালেসে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেয় সিবিআই। তবে তাঁর নিজাম প্যালেসে যেতে যেতে রাত হয়ে যায়। শুক্রবার সকালে এই মামলার শুনানিতে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সিবিআই আইনজীবী ওয়াইজে দস্তর বিচারপতিকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১ টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ২ টো ৩০ মিনিট পর্যন্ত শান্তিপ্রসাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রেকর্ড করা হয়েছে বয়ানও। আর সেই বয়ান জমা দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টে।
শান্তিপ্রসাদকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলা হাজিরা দিতে বলা হলেও তাঁর নিজাম প্যালেসে পৌঁছতে রাত কেন হল? সেই নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। এই প্রসঙ্গে শান্তিপ্রসাদ জানান যে তিনি আগে থেকে এই বিষয়ে কিছুই জানতেন না। পরে স্ত্রীর থেকে বিষয়টি জানতে পারলে সন্ধ্যে সাড়ে ৭ নাগাদ অফিস থেকে বাড়ি ফিরে তিনি নিজাম প্যালেসে যান। যতটুকু সম্ভব ততটাই সাহায্য করেছেন তিনি, জানান শান্তিপ্রসাদ।
এদিন হাইকোর্ট জানিয়েছে, হাই পাওয়ার কমিটির পাঁচ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যদি কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম উঠে আসে এবং তাঁকে কোনওরকম জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হয় তাহলে সিবিআই তা করতে পারে। তবে হাইকোর্ট জানায়, শুক্রবারের পর থেকে শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে আর কোনওরকম জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেনা সিবিআই। সোমবার পর্যন্ত প্রাক্তন উপদেষ্টাকে জিজ্ঞাসাবাদপর্ব বন্ধ থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :