অবিলম্বে ৩ হাজার ৯২৯ শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে! পর্ষদকে কড়া নির্দেশ আদালতের

নিয়োগ নিয়ে কল্পতরু কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাথমিকে যে ৩৯২৯ টি শূণ্যপদ রয়েছে সেখানে অবিলম্বে নিয়োগ করতে হবে বলে এদিন নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ১১নভেম্বরের মধ্যে করতে হবে বলে এদিন নির্দেশ দেন তিনি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১১ নভেম্বর হওয়ার কথা।

এদিন আদালত জানিয়েছে, প্রাথমিকের যে ৩৯২৯ টি শূণ্যপদ রয়েছে সেখানে অবিলম্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। সেক্ষেত্রে পুজোর আগে হয়তো চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগপত্র হাতে পাবেন না কিন্তু গোটা প্রক্রিয়ায় শুরু করে দিতে হবে পর্ষদ কে। পাশাপাশি নির্দেশ দিয়ে আরো বলা হয়েছে ১১ নভেম্বরের মধ্যে এই গোটা প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।

হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলায় মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল ২০১৬ এবং ২০২০ সালে দু দফায় নিয়োগ করা হয়েছিল। এরমধ্যে ২০২০ সালে ফের ১৬ হাজার ৫০০টি শূন্য পদ তৈরি হয়। কিন্তু সেই শূন্য পদে আর নিয়োগ করা হয়নি বলেই অভিযোগ করেছিলেন মামলাকারীরা। এরপর দেখা যায় এই সাড়ে ১৬ হাজার শূন্য পদের মধ্যে ৩৯২৯টি পদ এখনো শূন্যই পড়ে রয়েছে। শূন্য পদেই অবিলম্বে নিয়োগ করার নির্দেশ দিল আদালত।

প্রসঙ্গত, এসএসসির গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি বিভাগের ৯২৩ জনকে নিয়োগ পত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গত বুধবার গ্রুপ ডি মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানেই তিনি ২৮ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে ৯২৩ জনকে চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। পুজোর আগেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে কাউন্সেলিংয়ের প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি।

এসএসসিতে স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী হিসেবে ৫৭৩ জনের বেআইনি নিয়োগ বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সেই সমস্ত কর্মীদের বেতনের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল হাইকোর্টের তরফে। এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার শূন্য ওই ৫৭৩ টি আসনে মেধার নিরিখে অবিলম্বে নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিলেন তিনি।

গ্রুপ ডি এর পাশাপাশি গ্রুপ সি বিভাগেও ৩৫০ টি পদে পুজোর আগেই নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একই সঙ্গে জানিয়েছেন ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই ৯২৩ টি পদে চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।