বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভায় ব্যাপক রদবদল হয়েছে। গতকালই রাজ্য মন্ত্রিসভায় ৯ জন নতুন মন্ত্রী শপথগ্রহণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে দফতর বণ্টনও হয়েছে। মোট ৯ জন মন্ত্রীর মধ্যে ৫ জন পূর্ণমন্ত্রী। রাজ্য মন্ত্রিসভায় স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হলেন বীরবাহা হাঁসদা ও বিপ্লব রায়চৌধুরী। আর প্রতিমন্ত্রী হলেন তাজমুল হোসেন ও সত্যজিৎ বর্মণ। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন নতুন মন্ত্রিরা। এর পাশাপাশি পুরনো একাধিক মন্ত্রীর দায়িত্ব যেমন কমিয়েছেন, তেমনই কিছু মন্ত্রীর দায়িত্ব বেড়েওছে। পুরনোদের মধ্যে ফিরহাদ হাকিমের দায়িত্বভার কমানো হয়েছে। যার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কলকাতার মেয়র।
রাজ্য মন্ত্রিসভায় পুরনোদের মধ্যে দায়িত্ব অনেকটাই কমানো হয়েছে ফিরহাদ হাকিমের। তিনি কলকাতার মেয়র। আবার তিনি রাজ্যের পরিবহণ, পুর ও নগরোন্নয়ন এবং আবাসন মন্ত্রী ছিলেন। এখানেই শেষ নয়, তিনি দলের অন্দরেও একাধি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাই এবার তাঁর উপর থেকে কিছুটা দায়িত্বভার কমানো হল। পরিবহণ এবং আবাসন দফতরের হাতবদল করা হল। ফিরহাদের হাতে থাকা আবাসন দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্ব হাতে পেয়েছেন অরূপ বিশ্বাস। আর পরিবহণ মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের জন্য তাঁকে বৃহস্পতিবার ধন্যবাদ জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। দলের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্বভারও সামলাচ্ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। পরিবহণ, পুর ও নগরোন্নয়ন এবং আবাসন এতোগুলি দফতরের দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে তাঁর উপর চাপ বাড়ছিল। এদিন উল্টোডাঙা ব্রিজ পরিদর্শনে এসে এমনই কথা বললেন ফিরহাদ হাকিম। এদিন তিনি এও জানিয়েছেন যে, মিউনিসিপ্যালিটির কাজটা যেহেতু ছোটবেলা থেকে করে আসছেন তিনি, তাই এই কাজটার প্রতি তাঁর ভালোবাসা আছে।
সম্প্রতি উল্টোডাঙা উড়ালপুলে ফাটল দেখা দেওয়ার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এমনিতেই পোস্তা উড়ালপুলের দুর্ঘটনার স্মৃতি মানুষের মনে এখনও তাজা। এই পরিস্থিতিতে উল্টোডাঙা উড়ালপুলে ফাটল আরও আতঙ্ক বাড়িয়েছে। চিন্তায় পড়েছেন সেখানকার দোকানদাররা। আজ উল্টোডাঙা উড়ালপুল পরিদর্শনে যান ফিরহাদ হাকিম। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেএমডিএ-র উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা-সহ ব্রিজ কমিটির ইঞ্জিনিয়াররাও।
কেএমডিএ-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই ফাটলের জন্য ব্রিজের যানবাহন চলাচলে কোনও রকম অসুবিধা হবে না। পাশাপাশি তেমন বড় বিপদের আশঙ্কা নেই বলেই জানান তাঁরা। এদিন ফিরহাদ হাকিম অভিযোগ করেছেন যে, ব্রিজ নির্মাণের সময় লেকটাউনের দিকে যে অংশটি নামছে, ব্রিজের সেই নিচের অংশের একটি জায়গা ফাঁকা ছিল। সেই ফাঁকা জায়গা দিয়ে মানুষ যাতায়াত করত এবং ব্রিজ নির্মাণের পরে সেখানে অসামাজিক কাজও হত। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, সেইসব অসামাজিক কাজ রুখতেই সেই অংশে ইটের গাঁথনি তুলে প্লাস্টার করে দেওয়া হয়। ব্রিজের সঙ্গে সেই গাঁথনির অংশের কোনও সম্পর্ক নেই। সেই গাঁথনি অংশেই এখন ফাটল ধরেছে। এর ফলে ব্রিজের কোনও সমস্যা হবে না।
জানা গিয়েছে, যে অংশে ফাটল ধরেছে সেই অংশটি ভেঙে ফেলা হতে পারে। আবার প্লাস্টারও করে দেওয়া হতে পারে। যেহেতু ব্রিজের সঙ্গে সেই অংশটি সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই, তাই ব্রিজে এর কোনও প্রভাব পড়বে না এবং তার সঙ্গে যেভাবে গাড়ি চলাচল করছে বর্তমানে, সেভাবেই গাড়ি চলাচল করবে। তাই সাধারণ মানুষের আতঙ্কের কোনও কারণ নেই বলেই জানিয়েছেন কলকাতার মেয়র।
আপনার মতামত লিখুন :