বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এসএসসি দুর্নীতি মামলায় উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। এই মামলায় তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। দ্রুত এই মামলার শিকরে পৌঁছাতে চাইছে ইডি। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত মাসেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তবে, এই দুজনই নয়, ইডি-র নজরে রয়েছেন পার্থ এবং অর্পিতার ঘনিষ্ঠরাও। এবার ইডি-র নজরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে-জামাই। এতদিন পর্যন্ত আমেরিকাবাসী পার্থর মেয়ে সোহিনী ভট্টাচার্য এবং জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যের নাম আলোচনায় এলেও, তাঁদের নিয়ে বিশেষ বাক্যব্যয় করেনি ইডি। তবে, এবার তাঁদের ডাক পড়ল।
এবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর মেয়ে সোহিনী এবং জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যকে ডেকে পাঠাল ইডি। বৃহস্পতিবার পার্থ এবং অর্পিতাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়। এরপরই আমেরিকায় ই-মেল করে পার্থর মেয়ে-জামাইকে অবিলম্বে আমেরিকা থেকে কলকাতায় এসে দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই তলবের বিষয়ে সোহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। পাশাপাশি মোবাইলে পাঠানো মেসেজেরও কোনও জবাব দেননি।
ইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে সরকারি চাকরি বিক্রি করে সেই অর্থ বিভিন্ন সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে পার্থ এবং অর্পিতার যোগসূত্র স্পষ্ট। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ইতিমধ্যেই কম্পিউটারের সিপিইউ, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া কুড়িটি মোবাইল থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রে বেআইনি নিয়োগ, উদ্ধার হওয়া টাকা এবং প্রভাবশালী যোগের বহু তথ্য মিলেছে বলে ইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকরা দাবি করেছেন।
এবার এই তদন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে-জামাইও ইডি-র নজরে। এই মুহূর্তে তাঁরা আমেরিকায় রয়েছেন। কিন্তু দ্রুত তাঁদের কলকাতায় আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় তদন্তে সহযোগিতা করলেও, পার্থ সেটা করছেন না।
তদন্তকারী আধিকারিকরা দাবি করেছেন, অর্পিতা ও পার্থের পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের নামে আরও একটি সংস্থার হদিস পাওয়া গিয়েছে। ‘অনন্ত টেক্সফেব প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে ওই সংস্থার ঠিকানা হিসেবে অর্পিতার বেলঘরিয়ার একটি ফ্ল্যাটের ঠিকানা নথিভুক্ত করা রয়েছে। সেই ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে ইতিমধ্যেই বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তকারীদের মতে, কোনও সংস্থার ঠিকানা থেকে টাকা-সোনা উদ্ধার হলে, তার দায় সেই সংস্থার কর্তাদের উপরেও বর্তায়। অনন্ত টেক্সফেবের নামেও অনেক জায়গায় জমি ও বাড়ি কেনা হয়েছে। ইডি-র দাবি, এমন সংস্থার যোগসূত্র ধরেই সোহিনী-কল্যাণময়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। আর সেটা করা হলে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলেই মনে করছে তদন্তকারীরা। এদিকে, কল্যাণময় ভট্টাচার্যের একাধিক আত্মীয়ের বিষয়সম্পত্তির ব্যাপারেও খোঁজখবর করছে ইডি।
আপনার মতামত লিখুন :