বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আগেই গ্রেফতার হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গতকাল গরু পাচার মামলায় সিবিআই-এর হাতে গেরফতার হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। একের পর এক দুর্নীতিতে জেরবার তৃণমূল কংগ্রেস। এইসব দুর্নীতিতে নাম জড়াচ্ছে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের নাম। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন শাসকদলকে কোণঠাসা করতে।
এবার শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে তৃণমূল এবং তৃণমূল সুপ্রিমোকে আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘গোটা দলটাই জেলে যাবে, জেলে ক্যাবিনেট গড়বেন মমতা।’
এদিন তিনি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধেও আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি শাসকদলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে রাক্ষসের সঙ্গে তুলনা করতেও ছাড়েননি। আগেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।
শুক্রবার সকালে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূলের গোটা দলটাই দুর্নীতিগ্রস্ত। ওরা প্রত্যেকে জেলে যাবে। নেতা-মন্ত্রীরা কেউ বাদ যাবে না।’ এখানেই শেষ নয়, তিনি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন যে, ‘এরপর মন্ত্রিসভা বা দলের কোনও মিটিং করতে মমতাকে জেলে যেতে হবে। কারণ, কেউই আর বাইরে থাকবে না।’
এদিন অভিযোগের সুরে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন যে, অনুব্রত মণ্ডলের জন্য অনেকের জীবন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বহু মানুষের উপরই অত্যাচার চালিয়েছেন তিনি। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় অনুব্রত মণ্ডলের হাত আছে। তিনি কয়েকধাপ এগিয়ে এও দাবি করেছেন যে, অনুব্রত মণ্ডল যেমন মানুষের উপর অত্যাচার চালিয়েছেন, তাঁর উপরেও যেন সিবিআই তেমনই অত্যাচার করে। এর পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতিগ্রস্তদের আড়াল করার অভিযোগও করেছেন।
এদিন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইডি এবং সিবিআই-এর বিরোধিতা করা প্রসঙ্গেও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘আগে প্রতিটা ইস্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি করতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে কেন এখন আপত্তি জানাচ্ছেন।’ সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের কাছে বড় হাতিয়ার হয়ে উঠেছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহই নেই।
আপনার মতামত লিখুন :