পুজোর সময় চা, ঘুগনি, ঝাল মুড়ি বিক্রি করে উপার্জন করার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মুখ্যমন্ত্রীর এই পরামর্শকে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একই সঙ্গে কটাক্ষ করে তার মন্তব্য, "রাজ্যের দিশা না থাকলে, মানুষকে এভাবে ভুলিয়ে রাখতে হয়।"
গতকাল খড়্গপুরের প্রশাসনিক বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, "চা ভর্তি কেটলি নিন আর সঙ্গে কয়েকটা কাপ নিন। এরপর রাস্তায় বেরিয়ে পড়ুন। দেখবেন হু হু করে চা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।" এখানে থেমে না থেকে তিনি আরো বলেন, "এরপর মাকে বলুন ঘুগনি বানিয়ে দিতে। একটা ছোট কৌটোয় ঝাল মুড়ি ভরে নিন সঙ্গে অল্প ছোলা বাদাম নিয়ে নিন। দেখবেন একের পর একজন খেতে চাইবে। বিক্রি করে শেষ করে উঠতে পারবেন না। সব বিক্রি হয়ে যাবে।"
এই প্রসঙ্গেই এদিন তীব্র কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, "রাজ্যে যখন আর কোনও দিশা থাকেনা, তখন মানুষকে এভাবেই ভুলিয়ে রাখতে হয়। সরকার দুর্নীতিতে ডুবে গেছে। লক্ষ্য নেই। উদ্দেশ্য নেই। রোড ম্যাপ নেই। ট্রেনিদের কাগজ ধরিয়ে বলছে চাকরি দিলাম। পুরো ঢপবাজি দিয়ে চলছে। ওদিকে কেজরিওয়াল মুখ থুবড়ে পড়েছেন। এদিকে মমতা মুখ থুবড়ে পড়েছেন"।
একইসঙ্গে চাকরির নিয়োগপত্র বন্টন নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ বাবু। তার কথায়, "আপনার উপস্থিতির জন্য প্রতি মাসে এগারো হাজার? কিসের চাকরি? কিসের ট্রেনিং? সব কোম্পানিকে ভয় দেখানো হয়েছে। বলা হয়েছে কথা না শুনলে টাটার মতো পরিণতি হবে। এইভাবে বাংলার ছেলেদের বেকুব বানানো হচ্ছে।"
অন্যদিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি নিয়েও রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন তিনি। বলেছেন, "রাজ্যের ছেলেমেয়েরা যার হাত থেকে জীবনের প্রথম সার্টিফিকেট নিয়েছে, সে আজ চুরির দায়ে জেলে। শিক্ষা মন্ত্রী জেলে।গোটা শিক্ষা দফতর চোরেদের আড্ডা।"
আপনার মতামত লিখুন :