বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয়-সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই সময়ই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক বিষয়ে সমালোচনায় সরব হন তিনি। উল্লেখ্য, বুধবারই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছিলেন দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরা।
এদিন তিনি বলেন, ‘সরকারের পারফরম্যান্স কেমন, তা মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। রাস্তার ধারে ধারে যুবক-যুবতীরা চাকরির জন্য ধরনা দিচ্ছে, ডিএ-এর জন্য, পেনশনের জন্য সব জায়গায় হাহাকার। যাদের ভোট সবথেকে বেশি পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই মহিলারা নিজেদের অসুরক্ষিত বলে মনে করছেন। এক বছরেই নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছে। আমি জানি না পাঁচ বছরে কী হবে। আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ। আর কিছুদিন পর থেকে বেতন দেওয়ার মতো অবস্থা থাকবে না রাজ্য সরকারের। দলের নেতৃত্ব কে দেবেন তা নিয়েও ঝামেলা হচ্ছে, আর তা সামাল দিতে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই।’
এদিন বিজেপির সর্বভারতীয়-সহ সভাপতি স্কুলে গরমের ছুটির প্রসঙ্গেও সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘এই সরকার যা করে সবই উল্টো। সরকারের কোন ধৈর্য নেই। কে বলেছিল ছুটি দিতে। প্রাইভেট স্কুলগুলোতে ছুটি দিচ্ছে না। সমস্যা তো তাদের বেশি হওয়া দরকার। সাধারণ মানুষ চাইছে স্কুল খোলা থাকুক। ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক, পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। স্কুলের শিক্ষক নেই, তাই স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্যা এটা। এভাবে চলতে পারে না। শিক্ষা ব্যবস্থা উঠে যাবে। শিক্ষকদের রাজনীতির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, ব্যবহার করা হচ্ছে ভোট প্রচারেও।’
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বঙ্গ সফর নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মানুষ এখনও আমাদের ভরসা করে। আমরা আন্দোলন করছি, লড়াই করছি। সেই জন্যই আমাদের কর্মীরা প্রতিনিয়ত টার্গেট হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, অনেকেই ঘরছাড়া। মিথ্যা কেস দিয়ে জেলে ঢোকানো হয়েছে। যার ফলে মনোবলের অভাব ছিল বলে আমার মনে হয়। তবে, আমরা ২ তারিখ থেকে, আন্দোলনে নেমেছি। মানুষ আমাদের সমর্থন করেছে। প্রধান বিরোধী দল হিসেবে সে কাজটাই আমরা করছি।’
আবার এদিন তৃণমূলের হতে চলা সাংগঠনিক বৈঠক নিয়েও কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘সরকার পার্টি বলে আলাদা কিছু নেই। সরকারের মন্ত্রীদের কাছে কোন কাজ নেই, টাকা পয়সাও নেই সরকারের। কোথাও গেলে জিজ্ঞাসা করা হয়, কন্ট্রাকটররা টাকা পাবে কবে? কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই মিটিং করে কোন লাভ নেই। দলের লোকেদের সমস্যা হচ্ছে। তাদেরকে জবাব দিতে হচ্ছে। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল অনেক কিন্তু কিছুই করতে পারছেন না সরকার।’
আপনার মতামত লিখুন :