বাগুইআটিতে দুই ছাত্রকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এবার এই ঘটনায় সিআইডিকে তদন্তভার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে ক্লোজড করা হয়েছে বাগুইহাটি থানার আইসি কল্লোল ঘোষকে। বুধবার রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। একই সঙ্গে গোটা ঘটনায় পুলিশের গাফিলতির কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
বাগুইআটির জোড়া খুনে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যজুড়ে। গত ২২ আগস্ট অতনু দে ও অভিষেক নস্কর নামে দুই যুবক নিখোঁজ হয়ে যায় বাগুইআটি এলাকা থেকে। এরপরেই বাগুইআটি থানায় অভিযোগ জানানো হয় পরিবারের তরফে। এমনকি দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে মুক্তি পনের টাকা চেয়ে যে হুমকি ম্যাসেজ আসছিল সেই কথাও জানানো হয় পুলিশকে। এদিকে পুলিশের তরফে কোনরকম উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ পরিবারের। শেষ পর্যন্ত গতকাল দুই ছাত্রের খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। জানা যায় গত দু সপ্তাহ ধরে ওই দুই ছাত্রের দেহ বসিরহাটের পুলিশ মর্গে পড়েছিল।
এই গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রশ্ন তোলেন পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে। একপ্রকার চাপ বাড়তে থাকে সরকারের উপর। এই জায়গা থেকে দাঁড়িয়েই বাগুইআটি কাণ্ডে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার।
এদিন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সিআইডি তদন্তের নির্দেশের সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেন, "আইসির আরও তৎপর হওয়া উচিত ছিল। প্রয়োজনে সিআইডির সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল এই বিষয়ে। পুলিশের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করা উচিত ছিল এক্ষেত্রে। এবার এই ঘটনায় সিআইডি তদন্ত করবে। বাগুইআটি থানার আইসিকে ক্লোজ করা হলো।"
একই সঙ্গে মন্ত্রী জানান, এই গোটা ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী খুবই ব্যথিত হয়েছেন। এই দুঃখের সময় ওই মৃত দুই কিশোরের পরিবারের পাশে রাজ্য সরকার রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। পাশাপাশি মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন দোষীদের সকলকেই গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী ডিজিকে এই বিষয়ে যাবতীয় নির্দেশ দিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :