বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিচারব্যবস্থার ১ শতাংশের বিরুদ্ধে দু’দিন আগেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে জোর সমালোচনা শুরু হয়। নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেছেন খোদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিচারপতিদের নিয়ে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্যের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন সেই মামলার শুনানি ছিল। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এই মামলা খারিজ হয়ে যায় কলকাতা হাইকোর্টে। আদালত জানায় যে, ‘এই মুহূর্তে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপের প্রয়োজন নেই।’
অভিষেকের মন্তব্যের মাধ্যমে গোটা বিচারব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করা হয়েছে বলে এই মুহূর্তে হাইকোর্ট মনে করছে না। তবে, পাশাপাশি আদালত প্রত্যাশা করে যে, একজন জনপ্রতিনিধির এই ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত।
এদিন আদালতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য পড়ে শোনানো হয়। মামলাকারী সুস্মিতা সাহা দত্তর অভিযোগ, ‘পাবলিক মিটিংয়ে এমন কথা বলা হচ্ছে। তিনি ক্ষমাও চাননি। এটা নিয়ে কেউ কিছু করবে না। বার এসোসিয়েশনও কিছু করছে না।’ এর উত্তরে আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘বিচারব্যবস্থা এতো ঠুনকো নয় যে, একজন সাংসদ বলল মানেই গোটা ব্যবস্থার মান খারাপ হবে! এ ধরনের মন্তব্য এড়িয়ে যাওয়া উচিত।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শনিবার হলদিয়ায় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভা থেকে এস এস সি নিয়োগে সিবিআই তদন্তের সমালোচনা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারব্যবস্থার ১ শতাংশকে নিশানা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘আমারবলতেও লজ্জা লাগে, বিচার-ব্যবস্থায় একজন-দু’জন এমন আছেন, যারা যোগসাজশে কাজ করছেন। তল্পিবাহক হিসেবে কাজ করছেন। কিছু হলেই সিবিআই দিয়ে দিচ্ছে। খুনের মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়ে দিচ্ছেন। ভাবতে পারেন। আপনি অভিযুক্তকে নিরাপত্তা দিতে পারেন। কিন্তু মামলায় স্থগিতাদেশ দিতে পারেন না।’
এদিকে, বিচারব্যবস্থার সমালোচনা করায় আজ কলকাতা হাইকোর্টের দুই আইনজীবী তৃণমূল কংগ্রেসের ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়েরের আর্জি জানান। এদিন এই মর্মে তাঁরা বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এরপরেই এই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করার অনুমতি দেয় আদালত। কিন্তু এই মামলার শুনানিতে আদালত আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ করে দেয়।
আপনার মতামত লিখুন :