বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মোমিনপুরের ঘটনায় এবার সিট গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গের ডিজি এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে এই সিট গোটা ঘটনার তদন্ত করবে বলেই জানিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে এর পাশাপাশি মোমিনপুর এবং একবালপুর এলাকার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
জানা গিয়েছে, এই মামলায় পরবর্তী শুনানিতে সিট-কে যাবতীয় রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়েছে। এলাকায় বিস্ফোরকের ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। তেমন কিছু প্রমাণ পাওয়া গেলে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্যের রিপোর্ট দেখে এনআইএ তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে কিনা, তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেই জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে, এনআইএ তদন্ত হবে কিনা, তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট কোনও মতামত দেবে না বলেই জানানো হয়েছে।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, পুলিশ কমিশনারকেই এলাকায় শান্তি ফেরাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এলাকায় পুলিশ পিকেটিং বাড়ানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এলাকার মানুষের ভরসা ফিরিয়ে আনতে হবে বলেও বলা হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করেছে যে, সম্প্রীতি বজায় রাখতে প্রশাসনকেই পদক্ষেপ নিতে হবে।
এদিকে, মোমিনপুরের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেওয়া প্রাথমিক রিপোর্টে রাজ্য সরকার জানিয়েছে যে, স্থানীয় থানা ৫ টি এফআইআর দায়ের করে মামলার তদন্ত করছে। ১৫ টি বোমা, ৪ টি ক্রুড বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি ৪২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এও দাবি করা হয়েছে যে, বর্তমানে এলাকার অবস্থা শান্তিপূর্ণ আছে। এদিন দুপুরেই একবালপুর থানার ওসি রাজ্যকে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠিয়েছেন বলেই উল্লেখ করা হয়েছে আদালতে। উল্লেখ্য, এদিন মোমিনপুর মামলার শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের তরফে প্রশ্ন করা হয় যে, রাজ্য সরকার এই ঘটনায় কী পদক্ষেপ নিয়েছে নাগরিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে? এর পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের ত্রুটি নিয়েও লিখিত জবাব চেয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
মোমিনপুরের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। মঙ্গলবারই এই মামলায় শুনানির আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত। তবে, এই গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে মামলা দায়েরের অনুমতি দেয় হাইকোর্ট।
অন্যদিকে, মোমিনপুরের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন একযোগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। উত্তেজনাপূর্ণ এলাকায় যাওয়ার সময় সুকান্ত মজুমদারকে আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। আবার এই মোমিনপুরের ঘটনা নিয়ে মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘মোমিনপুরে কেন তিন দিন পরে ১৪৪ ধারা জারি করা হল? এলাকার মানুষ থানায় অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কেন পুলিশ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি? ওখানে ময়লা ডিপোর জমি নিয়ে প্রোমোটারি করা হয়েছে। তার জন্য বস্তিতে আগুন দেওয়া হয়।’
আপনার মতামত লিখুন :