1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

৭৫ জনের পরে থেকেও SSC-তে চাকরি কীভাবে? মামলায় নজিরবিহীন নির্দেশ হাইকোর্টের

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২২, ০৩:৩৫ পিএম

৭৫ জনের পরে থেকেও SSC-তে চাকরি কীভাবে? মামলায় নজিরবিহীন নির্দেশ হাইকোর্টের
৭৫ জনের পরে থেকেও SSC-তে চাকরি কীভাবে? মামলায় নজিরবিহীন নির্দেশ হাইকোর্টের / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এসএসসি-তে ফের দুর্নীতির অভিযোগ। কিছুদিন আগেই এসএসসি-তে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় কিছুদিন আগেই নজিরবিহীন নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষিকা অঙ্কিতা অধিকারীকে বরখাস্ত করেছে আদালত। পাশাপাশি তাঁর বেতন দুই কিস্তিতে ফেরতেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রভাব খাটিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর বিরুদ্ধে। এরপরে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা যায় বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চে।

এবার এদিন কলকাতা হাইকোর্টের নতুন বেঞ্চ শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির নয়া অভিযোগে মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে। ফের এদিন এক কর্মরত শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নির্দেশ দেন গণিত শিক্ষক সিদ্দিক গাজির চাকরি বাতিল করতে হবে। এই মর্মেই এদিন বিচারপতি মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশও দিয়েছেন। পাশাপাশি বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। 

দেখা গিয়েছে, মেধাতালিকায় ২০০ নম্বরে থাকা চাকরি প্রার্থী চাকরি পাননি, কিন্তু চাকরি পেয়েছেন মেধাতালিকায় ২৭৫ নম্বর স্থানাধিকারি চাকরি পেয়েছেন। এই মামলাতেই এদিন গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।  এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বুধবার। 

উলেখ্য, সিদ্দিকি গাজির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন অনুপ গুপ্ত নামে এক চাকরি প্রার্থী। তিনি মেধা তালিকায় ২০০ নম্বরে ছিলেন। তাঁর মূল অভিযোগ ছিল, তিনি চাকরি পাননি। অথচ মেধাতালিকায় ২৭৫ নম্বরে থাকা সত্ত্বেও চাকরি পান সিদ্দিকি গাজি। কীভাবে এটা সম্ভব হল? এই প্রশ্ন তুলেছেন অনুপ গুপ্ত। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এদিন বিচারপতি ওই গণিত শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। 

প্রসঙ্গত, এর আগে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর স্কুলে প্রবেশেও জারি করা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। সেই মামলাতেও আদালতের রায় নজিরবিহীন বলেই জানিয়েছিল বিশেষ মহলের একাংশ। সেইভাবে আজকের রায়ও নজিরবিহীন বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন