বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বালির তৃণমূল নেতা তপন দত্তের খুনের মামলায় এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এই মামলা ওঠে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চে।
এদিন এই মামলার শুনানিতে যাবতীয় নথি সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৬ মে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল পরিবেশকর্মী তথা তৃণমূল নেতা তপন দত্ত। সেই খুনে অভিযোগ উঠেছিল যে, জলাভূমি ভরাট করা দিয়ে প্রতিবাদ করার কারণেই খুন হতে হয়েছিল তৃণমূলের এই নেতাকে। এরপর এই খুনের ঘটনার তদন্তভার যায় সিআইডি-র হাতে। এই খুনের ঘটনায় সেই সময় নাম জড়িয়েছিল তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতার।
এই খুনের তদন্ত শুরু করে ২০১১ সালের ২০ আগস্ট সিআইডি চার্জশিট পেশ করে। সেই সময় চার্জশিটে নাম ছিলে হাওড়ার ওই নেতার। এই মামলা এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়াকে সার্বিকভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
নিহত তপন দত্তের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত এদিন জানিয়েছেন, ‘পুরো ঘটনায় তদন্তভার গ্রহণ করেছিল সিআইডি। প্রথম চার্জশিট পেশের সময় আমি কিছু বুঝতে পারিনি। কিন্তু, দ্বিতীয় চার্জশিট পেশের সময় বুঝতে পারি সুবিচার পাচ্ছি না। কিছু জনের বিরুদ্ধে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা সম্ভব নয়। এরপরেই আমি সিবিআই তদন্তের জন্য আবেদন করি। আজ ১২ বছর পর আমি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ পেলাম। আমি খুশি।’ তিনি আরও জানিয়েছেন যে, তাঁর স্বামীর হত্যার ঘটনার পর থেকে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তিনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এবার তিনি মনে করছেন সুবিচার পাবেন।
পাশাপাশি তপন দত্তের স্ত্রী আরও বলেন, ‘সিবিআই-এর উপর আস্থা রয়েছে। আরও চার-পাঁচ বছর বিচার পেতে দেরি হতে পারে। কিন্তু, আশা রয়েছে একদিন সুবিচার পাব।’ এর সঙ্গে তিনি এও অভিযোগ করেন যে, ‘যারা হত্যা করেছে তারা কিন্তু কলার তুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদিকে আমি এবং আমার মেয়েরা ঘরে বন্দি। এটা অত্যন্ত লজ্জার। আমি ফের লড়াই করতে রাজি রয়েছি। কিন্তু, সুবিচার না পেয়ে শান্ত হব না।’ এই খুনের ঘটনায় প্রতিমা দেবী রাজ্যের তৃণমূল শাসিত শাসক দলের এক হেভিওয়েট নেতার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মাথার বেঞ্চ জানিয়েছে যে, এই খুনের মামলার সমস্ত নথি সিবিআই-এর হাতে দিতে হবে, যদি সিবিআই- এর তদন্তকারীরা মনে করেন আরও তদন্তের প্রয়োজন আছে, সেক্ষেত্রে তা তাঁরা করতে পারেন। এই মামলার বিচার হবে সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে।
আপনার মতামত লিখুন :