বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আবারও আশ্বাস সরকারের তরফে, আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীদের উদ্দেশে। যে সব ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী নিয়োগ করা হয়েছে, তা বাতিল করে যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হবে। এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা পেশ করা হবে স্কুল সার্ভিস কমিশন তরফে। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন যে, ‘সরকারের উপর আস্থা রেখে, আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিন। পুজোর সময় বাড়ি ফিরে যান। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।’ যদিও যতক্ষণ না সরকারের কথা বাস্তবে রূপায়িত হচ্ছে, চাকরির নিয়োগপত্র হাতে আসছে, ততক্ষণ আন্দোলন প্রত্যাহার করতে রাজি নন, আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, তালিকা না মেনে নিয়োগ হয়েছে, এমন কোনও ব্যতিক্রম ধরা পড়লে, আদালতের নির্দেশ মেনে তা বাতিল করা হবে। স্কুল সার্ভিস কমিশন সেই প্রক্রিয়া চালাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ব্রাত্য বসু। এদিন তিনি বলেন, ‘আদালতের মতো সরকারও চায় দ্রুত সব জটিলতা কাটিয়ে নিষ্পত্তি হোক।’ সে কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন পদ তৈরি করতে চেয়েছেন বলেও উল্লেখ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন যে, গ্রুপ সি-তে অতিরিক্ত ১৯৫০ টি শূন্যপদ, গ্রুপ ডি-তে অতিরিক্ত ৪৩০০ শূন্যপদ, শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ৩৪০০ অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করতে হবে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে প্রায় ৯৭০০ অতিরিক্ত পদ তৈরির কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মেধা তালিকার পাশাপাশি ওয়েটিং লিস্ট- এ নাম রয়েছে এমন প্রার্থীদের প্রত্যেককেই চাকরি দিতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী সব নিয়োগ বাতিল করে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে।
যদিও শিক্ষামন্ত্রীর কোনও আশ্বাসেই আন্দোলন থামাতে রাজি নন চাকরি প্রার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনরত সেইসব প্রার্থীদের স্পষ্ট উত্তর, সুপারিশ না পেলে আন্দোলন তাঁরা চালিয়ে যাবেন। এদিন শিক্ষামন্ত্রী মুখে যা বলেছেন, তা অন্ততপক্ষে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করতে হবে বলেই দাবি করেছেন তাঁরা। কারণ অনেকেই বলছেন, অনেক আগেই মুখ্যমন্ত্রী চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। তাই আর কোনও মুখের কথায় তাঁরা ভরসা করতে পারছেন না।
আপনার মতামত লিখুন :