1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

ভবানীপুরকাণ্ডে একাধিক তথ্য ভাবাচ্ছে পুলিশকে! এলাকার CCTV-তেই কি মিলবে আততায়ীর পরিচয়

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২২, ১১:০৩ এএম

ভবানীপুরকাণ্ডে একাধিক তথ্য ভাবাচ্ছে পুলিশকে! এলাকার CCTV-তেই কি মিলবে আততায়ীর পরিচয়
ভবানীপুরকাণ্ডে একাধিক তথ্য ভাবাচ্ছে পুলিশকে! এলাকার CCTV-তেই কি মিলবে আততায়ীর পরিচয়

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ভবানীপুর জোড়া খুন কাণ্ডে ক্রমশ বাড়ছে রহস্য। একাধিক তথ্য ভাবাচ্ছে পুলিশকে। ভবানীপুরের হরিশ মুখার্জি স্ট্রিটের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এই খুনে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যে জায়গায় এই খুনের ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে খুবই সামান্য দুরত্বেই রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। কাজেই গোটা এলাকাতেই সিসিটিভি রয়েছে। এমন ‘হাইসিকিউরিটি জোনে’ কীভাবে এই জোড়া খুন? তা ভাবাচ্ছে। 

মঙ্গলবার সকাল থেকেই গোটা এলাকা থমথমে। পুলিশ পিকেট রয়েছে এলাকায়। সোমবার সন্ধ্যায় ভবানীপুরের হরিশ মুখার্জি রোডের এক বাড়ি থেকে এক দম্পতির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। স্থানিয়দের বক্তব্য অনুযায়ী, এই দম্পতির সঙ্গে কারও কোনও বিবাদ ছিল না। খুবই ভদ্র ছিলেন তাঁরা, ব্যবহারও ভাল ছিল তাঁদের। তাহলে কেন এই খুন? এখনও মিলেনি কোনও উত্তর। গতকাল ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা, গিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। 

ইতিমধ্যেই ভবানীপুরের এই জোড়া খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। সেইসঙ্গে তদন্ত চালাচ্ছে ভবানীপুর থানার পুলিশও। এই খুনে একাধিক তথ্য ভাবাচ্ছে পুলিশকে। এই খুনে সিসিটিভি ফুটেজ খুবি গুরুত্বপূর্ণ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজেই কি মিলবে আততায়ীর পরিচয়? 

সূত্রের খবর, এই খুনে একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে। ভবানীপুরে দীর্ঘদিন ধরেই এই দম্পতির বাস ছিল। দম্পতির তিন কন্যাসন্তান। একজন বাইরে থাকেন, একজন ভবানীপুরেই থাকেন এবং আরেক মেয়ে ওই দম্পতির সঙ্গেই থাকতেন। শেয়ার লেনদেনের ব্যবসা ছিলেন মৃত অশোক যে শাহর। আবার একাধিক ব্যবসায় লগ্নিও ছিল। প্রশ্ন উঠছে, বাড়িতে কি প্রচুর নগদ ছিল? নাকি ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে কারও সঙ্গে কোনও বিবাদে জড়িয়েছিলেন? জানা গিয়েছে, বাড়ি বিক্রি করতে চাইছিলেন শাহ দম্পতি সেই নিয়ে বিবাদেও জড়িয়েছিলেন।

জানা গিয়েছে, ওই গুজরাটি দম্পতির বাড়ির একটি বন্ধ থাকলেও, অপর একটি দরজা খোলা ছিল। ঘরের মধ্যে চলছিল টিভি। ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল খাবার। পুলিশ জানাচ্ছে, ভালো করে খতিয়ে দেখে বোঝা গিয়েছে, খুনে আগে আততায়ীর সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয়েছিল ওই দম্পতির। পাশাপাশি পুলিশ জানিয়েছে, বছর ৫৬-র নিহত অশোক শাহর দেহ যখন উদ্ধার করা হয়, তখন তিনি খালি গায়ে ছিলেন। পরনে ছিল একটি হাফ প্যান্ট। তাঁর শরীরে বড় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। আবার বছর ৫২-র স্ত্রী রশ্মিতা শাহের শরীরেও বড় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।পুলিশের অনুমান দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যেই খুন হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আততায়ীরা পূর্ব পরিচিত ছিল। কারণ খুন আগে থেকেই জানত  যে, ওই সময় শাহ দম্পতির ছোট মেয়ে বাড়ির বাইরে থাকেন কাজের সূত্রে। পরিচিত না হলে দরজা খোলার প্রশ্নই নেই।

অন্যদিকে, ঘরের মধ্যে আলমারির দরজা খোলা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। এমনকী রশ্মিতা শাহের হাতের বালা ও আংটিও এবং দুজনের মোবাইল উধাও বলেই জানা গিয়েছে। ফলে লুঠে বাধা দেওয়াতেই এই খুন হতে পারে বলেও অনুমান করা হচ্ছে। তবে, এর পাশাপাশি পরিচিত কোনও ব্যক্তি এই ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টিকেও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। তদন্তে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই খুনের ঘটনায় অন্তত দু’জন জড়িত। 

ছোট মেয়ে কাজের সূত্রে আগেই বাইরে বেরিয়েছিলেন। ঘটনার সময় বাড়িতে একাই ছিলেন বয়স্ক দম্পতি। আর এক মেয়ে বারবার ফোন করেও দুপুর থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। ফলে, সন্দেহ হওয়ায় সন্ধে ৬টা নাগাদ হরিশ মুখার্জি রোডের ফ্যাটে চলে আসেন মেয়ে। সদর দরজা খোলা দেখে, তা ঠেলে ঘরের ভেতরে ঢুকতেই মা রশ্মিতা শাহের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর বেডরুমের সামনে পড়ে থাকতে দেখেন বাবা অশোক শাহের দেহ।

এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, দ্রুত অপরাধীদের ধরতে হবে। পাশাপাশি মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘ক্রাইম করে বাংলা থেকে কেউ ছাড় পায় না। অপরাধী ধরা পড়বেই। তদন্ত হচ্ছে। আমি যা শুনলাম মনে হচ্ছে গুলি করে খুন। যতক্ষণ না ময়নাতদন্ত হচ্ছে কিছু বলা যাবে না।’

আরও পড়ুন