আরো সংকটের ববিতা সরকারের চাকরির ভবিষ্যৎ। বলা যায় আরও ঘনীভূত হল তার চাকরির জোট। এই মামলার যতদিন না নিষ্পত্তি হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতার কাছ থেকে পাওয়া টাকা আলাদা একাউন্টে রাখতে হবে ববিতাকে। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দিয়ে জানানো হয়েছে, মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর কাছ থেকে যে ১৫ লক্ষ টাকা তিনি পেয়েছিলেন সেই টাকা এখন অন্য একাউন্টে জমা রাখতে হবে। বিশেষ করে সেই টাকাকে আলাদাভাবে ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। যদি মামলার রায় ববিতা সরকারের বিপরীতে যায় তবে পুরো টাকাটাই হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেল এর কাছে জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে আবেদন পত্র কেন তিনি ষাট শতাংশ লিখেছেন সেই ব্যাখ্যাও দিতে হবে আদালতকে।
প্রসঙ্গত, ববিতা সরকারের জায়গায় যোগ্যপ্রার্থী অনামিকা রায়। এমনই দাবি তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন চাকরিপ্রার্থী অনামিকা রায়। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
দাবি করেছেন, যখন আবেদনপত্র পূরণ করা হচ্ছিল তখন ববিতা জানিয়েছিলেন তিনি ৪৪০ পেয়েছেন ৮০০ নম্বরের মধ্যে স্নাতক স্তরে। শতাংশ হিসেবে তার ৬০ শতাংশ বলে দাবি করেছেন ববিতা। কিন্তু হিসেবে দেখা যাচ্ছে তার শতাংশের কম।
এরপর অনামিকা আরো জানায়, নিয়ম অনুযায়ী কেউ ৬০শতাংশের বেশি পেলে সে ক্ষেত্রে তার নম্বর হয় ৮। কিন্তু কেউ ৪৫ শতাংশ থেকে ৬০শতাংশের মধ্যে নম্বর পেলে তার নম্বর কমে দাঁড়ায় ছয়। সেক্ষেত্রে ববিতার মোট নম্বর ৭৭ এর পরিবর্তে ৭৫ হওয়া উচিত। আর ওই জায়গায় ববিতা তালিকার নিচে নেমে যাওয়ায় সেই চাকরি পাওয়া উচিত অনামিকার। এমনটাই দাবি করেছেন এই চাকরিপ্রার্থী।
এদিকে ববিতা সরকার নিজেই আদালতকে জানিয়েছেন তাকে দুই নম্বর বাড়তি দেওয়া হয়েছে। এর পরেই সোমবার তাকে নতুন আবেদন পত্র দাখিল করার জন্য অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আপনার মতামত লিখুন :