বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এই নিয়ে দু’বার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বা সিবিআই তলব করলেও, হাজিরা এড়ালেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কারণ হিসেবে জানালেন তিনি ‘অসুস্থ’, তাই হাজিরা দিতে পারছেন না। বীরভূমের ইলামবাজারের গোপালনগরের বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারের খুনের অভিযোগে যে মামলা করা হয়েছে, তারই তদন্তে অনুব্রতকে ডাকা হয় বলেই জানা গিয়েছে সিবিআই সূত্রে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারির ২৮ তারিখেও অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করেছিল সিবিআই। কিন্তু সেদিনও তিনি একই কারণ দেখিয়ে হাজিরা দেননি। এবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তদন্তকারীদের মনে। এমনটাই জানা যাচ্ছে। এদিকে, বিরোধীদের একাংশ কটাক্ষের সুরে বলছেন যে, সিবিআইয়ের হাজিরা এড়াতেই অসুস্থতার ভান করছেন তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা। যদিও এ বিষয়ে খোদ অনুব্রত মণ্ডলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২ মে, বিধানসভা নির্বাচনের ভোটের ফল প্রকাশের দিন গোপালনগর গ্রামে গৌরব সরকার নামে এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। বিজেপি জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, ভোটের ফল প্রকাশের পর বিজয় মিছিল করে স্থানীয় তৃণমূলের নেতারা। সেই বিজয় মিছিল থেকে গৌরব সরকারের উপর চড়াও হন একদল যুবক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গৌরবের, এমনটাই অভিযোগ।
এরপর ঘটনার তদন্ত শুরু করে প্রথমেই দিলীপ মৃধা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তিনি তৃণমূলের লোক বলেই অভিযোগ ওঠে। গ্রেফতারের পরদিনই ইলামবাজারে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে সম্পাদককে একটি নোটিস দেওয়া হয়। সেই ঘটনার তদন্তেই অনুব্রতকে তলব করা হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে ইতিমধ্যেই ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে সিবিআই। দায়ের করা হয়েছে একাধিক এফআইআরও। কিছুদিন আগেই হিংসা তদন্তের তৃতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দিয়েছে সিবিআই। এই রিপোর্টে নতুন ১০ টি চার্জশিট, ১টি এফআইআর উল্লেখ করা হয়েছে। দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার এক মাসের মধ্যেই তৃতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
আপনার মতামত লিখুন :