বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরসূচিতে শেষ বেলায় বদল ঘটল। বুধবার রাজ্যে আসছেন না অমিত শাহ। বুধবারের পরিবর্তে পরের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। প্রথমে জানা গিয়েছিল, বুধবার কলকাতা বিমানবন্দরে নামবেন। কিন্তু শেষবেলায় সফরসূচিতে পরিবর্তন আনা হয়। বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছাবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৃহস্পতি এবং শুক্রবারে এ রাজ্যে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। একাধিক দলীয় এবং সরকারি কর্মসূচির পাশাপাশি কলকাতায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর এই প্রথমবার বাংলায় পা রাখতে চলেছেন অমিত শাহ। ইতিমধ্যেই শাহের সফরকে কেন্দ্র করে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ৫ মে কলকাতায় পৌঁছাবেন অমিত শাহ। তিনদিনের এই সফরে প্রথমে তিনি যাবেন উত্তর ২৪ পরগণার হিঙ্গলগঞ্জে। সেখানে বিএফএফের একটি অনুষ্ঠানে তাঁর উপস্থিত থাকার কথা।
এরপর হরিদাসপুরের বিএসএফ ক্যাম্পে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মৈত্রী সংগ্রহালয়ের শিলান্যাস করার কথা রয়েছে। এরপর দুপুরের খাওয়া সারবেন জওয়ানদের সঙ্গেই। এরপর দুপুরের দিকে অমিত শাহ কল্যাণী ফিরবেন। সেখান থেকে সোজা কলকাতা বিমানবন্দর যাবেন, তারপর সেখান থেকে বাগডোগরা হয়ে শিলিগুড়িতে যাওয়ার কথা হয়েছে অমিত শাহের।
দলীয় সূত্রে খবর, শিলিগুড়িতে একটি জনসভা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানেই তিনি রাত কাটাবেন। পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার সকালে কোচবিহারের তিনবিঘায় যাওয়ার কথা রয়েছে শাহের। হোটেলেই দুটি সাংগঠনিক বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। সেই বৈঠকেই কারা উপস্থিত থাকতে পারেন, তার একটি তালিকাও দলের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সূত্রের খবর, বিজেপি সাংসদ, বিধায়ক, জেলা পরিষদ থেকে বিভিন্ন পুরসভার জয়ী প্রার্থীদের উক্ত বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ‘সোনার বাংলা’-র স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছে। বিং বিধানসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর, উপনির্বাচনেও প্রতিটাতেই হারতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এই মুহূর্তে বাংলায় অমিত শাহের এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমন একটা সময়ে বাংলায় পা রাখছেন, যখন বঙ্গ বিজেপি শিবিরে অন্তর্দ্বন্দ্ব ক্রমশ আরও বাড়ছে। সম্প্রতি দলের বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের মধ্যেও বিবাদ প্রকাশ্যে এসেছে। এখানেই শেষ নয়, রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের মধ্যেই বিবাদ প্রকাশ্যে এসেছে। এখন তো আবার বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং-এর মুখেও মমতার প্রশাংসা এবং কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি আরও বাড়িয়েছে। দলের এমন একটা টালমাটাল পরিস্থিতিতে বাংলায় অমিত শাহের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :