বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে গালিগালাজ, চোর মারার হুমকির ঘটনায় তোলপাড় রাজ্যের শিক্ষাঙ্গন। এই ধরনের ঘটনা শিক্ষার অঙ্গনে প্রায় নজিরবিহীন বলে মনে করছেন অনেকেই। এ ধরনের নজিরবিহীন তাণ্ডব চালানোর পর, অবশেষে গ্রেফতার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন ইউনিট সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল। টেকনো সিটি থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে বলেই জানা গিয়েছে। এদিকে, এই ঘটনার উল্লেখ্ করে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এই ঘটনায় তিনি অত্যন্ত দুঃখিত বলে জানিয়েছেন। তবে, গিয়াসউদ্দিনের সঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই জানিয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য এবং রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
শুক্রবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহম্মদ আলিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় একদল পড়ুয়া। অভিযোগ, সেই বিক্ষোভের নেতৃত্বে দেয় গিয়াসউদ্দিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিক্ষোভের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, উপাচার্যের ঘরে ঢুকে তাণ্ডব চালাচ্ছে কয়েকজন পড়ুয়া। সেখানেই উপাচার্যকে চড় মারার হুমকি এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে দেখা যায় তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন ইউনিট সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্ক। এই ভিদিওকে কেন্দ্র করেই পড়ে, বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়ে যায়।
এদিকে, ওই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, ‘সম্প্রতি কিছু বহিরাগতকে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আশালীন আচরণ করতে দেখা গিয়েছে একটি ভিডিয়োয়। সঙ্গে সঙ্গেই ওই ঘটনার নিন্দা করেছি। ওই বিক্ষোভের ঘটনা জানার পরই আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিট দ্রুত উপাচার্যকে হাসপাতালে নিয়ে য়ায়। যে ব্যক্তিকে উপাচার্যের উপরে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে তাকে ২০১৮ সালে আলিয়া বিশ্ববিদ্য়ালয় থেকে অনৈতিক কাজের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরে তাকে আলিয়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট থেকেও বহিষ্কার করা হয়। সেই সময় থেকেই তার সঙ্গে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে কোনও যোগাযাগ নেই। বর্তামানে তাকে জড়িয়ে তৃণমূলের নিন্দা করা হচ্ছে। আমি এর নিন্দা করছি। আমরা সর্বদা বিশ্ববিদ্য়ালয়ে সুস্থ পরিবেশ রক্ষার পক্ষপাতী। বিশ্ববিদ্য়ালক কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের কাছে অনুরোধ দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হোক। শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্য মানছি না।’
অন্যদিকে, তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ ওই ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ‘ও বহুদিন আগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য ছিল। কিন্তু নিয়মশৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে আগেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
আপনার মতামত লিখুন :