1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

নিত্যসামগ্রীর দাম আকাশছোঁয়া, দেশজুড়ে চরম খাদ্যাভাব! শ্রীলঙ্কার ভয়াবহ পরিস্থিতির নেপথ্যে কী কারন?

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২২, ০৪:১২ পিএম

নিত্যসামগ্রীর দাম আকাশছোঁয়া, দেশজুড়ে চরম খাদ্যাভাব! শ্রীলঙ্কার ভয়াবহ পরিস্থিতির নেপথ্যে কী কারন?
নিত্যসামগ্রীর দাম আকাশছোঁয়া, দেশজুড়ে চরম খাদ্যাভাব! শ্রীলঙ্কার ভয়াবহ পরিস্থিতির নেপথ্যে কী কারন?

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ শ্রীলঙ্কায় দেশজুড়ে আর্থিক টালমাটাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ছে উত্তরোত্তর। প্রতি কেজি চালের দাম বেড়ে হয়েছে ২২০ টাকা। প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। এছাড়াও প্রতি কিলো আটা ১৯০ টাকা, প্রতি লিটার নারকেল তেল ৮৫০ টাকা এবং প্রতি কেজি গুঁড়ো দুধ পাওয়া যাচ্ছে ১৯০০ টাকা দামে। একপাতা প্যারাসিটামল ওষুধ কিনতে দিতে হচ্ছে ১৪০ টাকা। দেশজুড়ে জ্বালানির যোগান প্রায় তলানীতে এসে ঠেকেছে। সব মিলিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কায়।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে এরকম শোচনীয় অবস্থা আগে কখনও দেখা যায়নি। কিন্তু এরকম পরিস্থিতি কেন তৈরি হল? সেই নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠছে প্রশ্ন। এরকম অর্থনৈতিক দুর্যোগের সৃষ্টি একদিনে হয়নি। আর সমুদ্রের ঘেরা এই ছোট্ট দ্বীপের বুকে কখনও ভয়ঙ্কর যুদ্ধ পরিস্থিতি অথবা জঙ্গি হামলার মতো ঘটনাও ঘটেনি। তা সত্ত্বেও কীভাবে দেশের অর্থনৈতিক ভিত নড়ে গেল? এই পরিস্থিতি তৈরীর জন্য বেশিরভাগই সরকারের ভ্রান্তনীতিকে দায়ী করেছে।

শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে টানা ১৩ দিন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় পুরো উৎপাদন পদ্ধতিতেই ভাটা পড়ে। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় প্রয়োজনীয় জিনিসের উৎপাদন এক মুহূর্তে স্তব্ধ হয়ে যায়। মানুষের জীবনে নেমে আসে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি। যেটুকু সামগ্রীর যোগান ছিল তা কিনতে কালঘাম ছুটে যায় সাধারণ মানুষের। দেশজুড়ে দেখা দেয় চরম খাদ্যাভাব। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে বাড়ির শিশুটির মুখে দুধ তুলে দেওয়ার মত অবস্থাও থাকেনা। এমন পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাক্ষর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে রাজপথে নামেন সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা।

শ্রীলঙ্কার মূল অর্থনৈতিক কাঠামো দাঁড়িয়ে থাকে পর্যটন শিল্পের ওপর। কিন্তু গত দু’বছরে করোনা সংক্রমণ বাড়ার ফলে দেশজুড়ে জারি করা হয় লকডাউন। যার ফলে ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় পর্যটন শিল্প। ধীরে ধীরে আলগা হতে শুরু করে দেশের অর্থনৈতিক ভিত। অনুমান করা হয়, গত দু’বছরে শ্রীলঙ্কার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার। এই বিপুল ক্ষতি গোটা দেশকে আর্থিক সংকটের মুখে ঠেলে দিয়েছে।

অন্যদিকে চীনের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার বিদেশনীতি সমালোচনার মুখে পড়েছে। চীনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সেই ঋণের বোঝা এখনও নামেনি কাঁধ থেকে। ঋণের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রা ভান্ডারও প্রায় শেষের পথে। ফলে প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিদেশ থেকে আমদানিও করা সম্ভব হচ্ছে না। মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ১৭.৫ শতাংশ। গত ফেব্রুয়ারিতে এর পরিমাণ ছিল ১৬.৮ শতাংশ।

এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে যাতে শ্রীলঙ্কা সামান্য হলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারে তার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ৬০০০ এমটি তেল সিইলন ইলেট্রিসিটি বোর্ডকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ভারত ৪০,০০০ টন চাল পাঠিয়েছে শ্রীলঙ্কায়। খবর পাওয়া গেছে, বহু শরণার্থী ইতিমধ্যেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে এসেছে। ঠাঁই নিয়েছে দক্ষিণ ভারতে।

আরও পড়ুন