আবার চিন্তা বাড়াচ্ছে চিন। বছর শেষে যেভাবে সেই দেশে করোনা বাড়ছে তাতে উদ্বেগে পড়ছেন গোটা চিকিৎসক মহল। ইতিমধ্যেই সেই দেশের প্রভাব যাতে ভারতে না পড়ে তাই নিয়ে একাধিক সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
জানা গিয়েছে, দেশটির জনসংখ্যার ১৮ শতাংশই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন বিগত এই কয়েকদিনে। এর আগে চিনে একদিনে সর্বোচ্চ ৪০ লাখ মানুষ কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।ব্লুমবার্গের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে,গত ২০ ডিসেম্বর চিনে ৩.৭ কোটি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে চিনের সরকারি হিসেব বলছে, সেদিন সেদেশে ৩০৪৯ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের এক বৈঠক থেকে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, এই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রমাদ গুণতে শুরু করেছেন অতিমারী বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, একদিনে একসঙ্গে এতোজন সংক্রমিত হলে চিনের পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। শুধু তাই নয়, তখন বিশ্বের অন্য দেশে কোভিডের অতিসংক্রামক স্ট্রেনের ছড়িয়ে পড়া কোনওভাবেই আটকানো যাবে না।
এবারের সংক্রমণের ঢেউতে শহুরে এলাকার গণ্ডি পার করে গ্রামীণ অঞ্চলেও করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে চিনের সবকটি করোনা ঢেউতে মূলত শহুরে অঞ্চলেই সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। এই অবস্থায় কোভিড ঠেকাতে বেজিং পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ। সংক্রমণ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও সরকারের তরফে ব়্য়াপিড টেস্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি, যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তারও জিনোম সিকোন্সিং করা হয়নি। তাই কী ধরনের প্রজাতি এবার ছড়াচ্ছে তাও বোঝা যাচ্ছে না স্পষ্ট ভাবে।
এদিকে, রিপোর্টে দাবি করা হয়, চিনে তৈরি নিম্নমানের টিকার কারণে সেদেশের জনগণের শরীরে কোভিডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠেনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে চিনে কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু রেকর্ড করার পদ্ধতি বদলে গিয়েছে। যদিও শুক্রবার অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে বলে দাবি করেছে বেজিং।
আপনার মতামত লিখুন :