বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ পণ না পেয়ে গৃহবধূকে খুনের ঘটনা আজও অব্যাহত। এই ধরনের অপরাধপ্রবণতা যে সমাজের শুধুমাত্র অশিক্ষিত মানুষের মধ্যেই দেখা যায়, তা নয়, উচ্চশিক্ষিত মানুষের দ্বারাও এই ধরনের অপরাধ হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে বারবার। এবারও সেই একই ঘটনা ঘটল। পণের দাবিতে পুত্রবধূকেই শুধু নয়, বছর ৩-এর নাতনিকেও পুড়িয়ে খুন করা হল। আর এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে ফের একবার খবরের শিরোনামে যোগীরাজ্য।
পণের দাবিতে পুত্রবধূ এবং মাত্র তিন বছরের নাতনিকে পুড়িয়ে খুন করার মারাত্মক অভিযোগ উঠল শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে। আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে ওই তরুণীর এবং তাঁর তিন বছরের শিশুকন্যার। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরে। মৃতা তরুণীর নাম লক্ষ্মী, বয়স ২৫ বছর। মায়ের সঙ্গে মৃত্যু হয়েছে বছর তিনেকের ঋদ্ধিরও।
অভিযোগ উঠছে, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে চাপ দেওয়া হত লক্ষ্মীকে। সম্প্রতি সেই অশান্তি চরমে ওঠে। শ্বশুর এবং শাশুড়ি দুজনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, দুজনে মিলে পুত্রবধূর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন, নাতনির গায়েও আগুন লাগে। এই কাজে তাঁদের সাহায্য করেন শ্বশুরবাড়ির অন্যান্যরাও। এমনই দাবি মৃতা গৃহবধূ লক্ষ্মীর পরিবারের।
এদিকে, মেয়ে এবং নাতনিকে হারিয়ে থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন লক্ষ্মীর মা বরফা দেবী। তিনি অভিযোগ পত্রে জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের ১২ মে অরবিন্দ চৌরাসিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মেয়ে লক্ষ্মীর। বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেছিলেন মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। সেই দাবি না মেটাতেই লক্ষ্মীর উপর অত্যাচার করা হত। ৪ বছর ধরে তাঁর উপর পণের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। এর পাশাপাশি আরও নানা কারণে অশান্তি লেগেই থাকত মেয়ের সংসারে। লক্ষ্মীর মৃত্যুর পর স্বামী অরবিন্দ-সহ শ্বশুরবাড়ির সকলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অরবিন্দকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :