1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জের! আপৎকালীন দরজা না থাকায়, লখনউয়ের হোটেলের আগুনে মৃত বেড়ে ৬

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২, ০৫:২০ পিএম

কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জের! আপৎকালীন দরজা না থাকায়, লখনউয়ের হোটেলের আগুনে মৃত বেড়ে ৬
কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জের! আপৎকালীন দরজা না থাকায়, লখনউয়ের হোটেলের আগুনে মৃত বেড়ে ৬

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ লখনউয়ের অভিজাত হোটেলের বিধ্বংসী আগুনে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। হোটেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি এবং তার পাশাপাশি নিয়ম ঠিকভাবে না মানার খেসারত দিল বেশ কিছু মানুষ। এখনও পর্যন্ত লখনউয়ের ওই হোটেলের বিধ্বংসী আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬। গুরুতর আহত আরও ১০ জন। তাঁদের ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সোমবার সাত সকালেই লখনউয়ের হজরতগঞ্জ এলাকার অভিজাত হোটেল লেভানায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সোমবার সকালেই হোটেল থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। আগুন লেগেছে টের পেতেই বেশ কয়েকজন আবাসিক এবং কর্মী বেরিয়ে আসেন। কিন্তু বেশ কয়েকজন আবাসিক তখনও ভিতরে ছিলেন বলেই খবর। এদিন আগুন লাগার পর, গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। আপৎকালীন দরজা না থাকায়, অনেকেই ভিতরে আটকে পড়েন বলেই মনে করা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, সকালে আগুন নজরে আসার পরে, স্থানীয়রাই দমকলে খবর দেন। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে হাজির হন দমকল কর্মীরা। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় অন্য উদ্ধারকারী দলও। আগুন নেভানোর পাশাপাশি হোটেলের আবাসিকদের উদ্ধারের কাজ যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে শুরু করা হয়। ঘন কালো ধোঁয়ায় আটকে অনেকেই জ্ঞান হারান। দমকলের কর্মীরা পৌঁছে আগুন নেভানোর সঙ্গে সঙ্গে হোটেলে আটকে পড়া কর্মী এবং আবাসিকদের দড়ি বেঁধে নামিয়ে আনতে শুরু করেন। জানা গিয়েছে, কাঁচ ভেঙে গ্যাস মাস্ক পরে হোটেলের ভিতরে ঢুকে উদ্ধার কাজ শুরু করেন দমকলকর্মীরা৷

এদিকে, লখনউ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ১৫ জন আটকে পড়া আবাসিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এঁদের মধ্যে দুজন উদ্ধারের সময়ই জ্ঞান হারান। গুরুতর আহত ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্র জানা গিয়েছে, ওই হোটেলে কোনও আপৎকালীন দরজা ছিল না। এখানেই শেষ নয়, এমনকী রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রগুলিও সম্পূর্ণ অকেজো ছিল। উল্লেখ্য, দিন দুই আগেই, বিভিন্ন কারণে লখনউ ডেভলপমেন্ট অথরিটি নোটিস পাঠিয়েছিল এই হোটেলটিকে। এর মধ্যেই এই ভয়ংকর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে গেল।

অন্যদিকে, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ঘবর পেয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বার্তা দিয়েছেন যে, এই দুর্ঘটনায় আহতদের যেন যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের সমস্ত আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এদিকে, ঘটনার খবর নিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও। তিনি সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।

আরও পড়ুন