বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। আপাতত তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই। পাশাপাশি তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে অপসারণের নির্দেশের উপরেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে। তবে, তদন্ত চালিয়ে যেতে বাধা নেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই- এর। আবার অপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র গ্রেফতারি নিয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। কাজেই আপাতত ইডি হেফাজতেই থাকতে হচ্ছে মানিককে।
এদিন মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সহাপতি পদ থেকে অপসারণের নির্দেশেও স্থগিতাদেশ দিল শীর্ষ আদালত। অপসারণের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিলেও, তাঁকে পুনরায় ওই পদে বহালের কোনও সুপ্রিম-আদেশ নেই। সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, ‘আমরা তাঁকে পুনর্বহালের নির্দেশ দিতে পারি না।’ এদিন শুনানি ছিল বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস ও বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চে।
নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই- এর গ্রেফতারির বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। সেই মামলায় এদিন কার্যত সুপ্রিম রক্ষাকবচ পেলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, তদন্ত চালিয়ে গেলেও, মানিককে গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের আরও নির্দেশ, কোন পথে তদন্ত চলছে, তদন্তের অগ্রগতিই বা কী, কোন পথে এগোতে চাইছে সিবিআই, ৪ সপ্তাহ পর সেই রিপোর্টে দিতে হবে শীর্ষ আদালতে। যদিও এই মামলার পরবর্তী শুনানি দিন এখনও ঠিক হয়নি।
রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণ করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ মেনে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে। তাঁর জায়গায় সেই পদে আসেন গৌতম পাল। এই নির্দেশের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। এদিন সেই আবেদনের শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি। তাঁরা জানান, কোনও যুক্তিতে মানিক ভট্টাচার্যকে সরানো হল, এক্ষেত্রে পালটা কী যুক্তি রয়েছে মানিকের আইনজীবীর, তা বিস্তারিত শোনার প্রয়োজন রয়েছে।
অন্যদিকে, এদিন শীর্ষ আদালত কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের সমালোচনাও করে। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচরপতি বিক্রম নাথের ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট জানান, মানিক ভট্টাচার্যকে পদ থেকে অপসারণের কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না। এছাড়াও ইডি-র গ্রেফতারি নিয়েও সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন মানিক। তবে, এনিয়ে শুনানি হলেও রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালর। ফলে আপাতত ইডি হেফাজতেই থাকতে হবে তাঁকে।
আপনার মতামত লিখুন :