বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ অতি সম্প্রতি হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লি। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে সাধারণ মানুষ থেকে পুলিশকর্মী এবং দুই গোষ্ঠীর অনেকেই আহত হন। সবার সেই ঘটনার আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। রাজধানী দিল্লির পাশাপাশি কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ-সহ অন্যান্য রাজ্যেও হিংসার ঘটনার খবর সামনে আসছে। এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশে সাম্প্রদায়িক অশান্তি যাতে মাথাচাড়া দিয়ে না ওঠে, পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায়, সেই জন্য কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সাম্প্রদায়িক অশান্তি রুখতে নির্দেশ দিয়েছেন যে, মাইক বাজালেও, সেই শব্দ যেন কোনোভাবেই ধর্মীয় স্থানের বাইরে না আসে। পাশাপাশি ধর্মীয় শোভাযাত্রা বা মিছিলের আয়োজন করা নিয়েও বিশেষ বার্তা দিয়েছেন তিনি।
সোমবারই রাজ্যের সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে বৈঠক করেন যোগী আদিত্যনাথ। সেখানেই তিনি বলেন যে, অন্যান্য রাজ্যের মতোই হিংসাত্মক পরিবেশ যেন উত্তরপ্রদেশে তৈরি না হয় কোনোভাবেই। যোগী আদিত্যনাথ এর পাশাপাশি টুইট করে জানিয়েছেন যে, ‘রাজ্যের প্রতিটি মানুষের নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার আছে।’
যোগী আদিত্যনাথ তাঁর এই টুইটের মাধ্যমে বলতে চেয়েছেন যে, একজনের ধর্মপালন যেন অন্যের অসুবিধার কারণ হয়ে না দাঁড়ায়। পাশাপাশি তিনি মাইক বাজানো নিয়েও লেখেন যে, ‘মাইক বাজানো যেতে পারে। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, যেন মাইকের শব্দ ওই পরিসরের বাইরে না যায়।’ উল্লেখ্য, মসজিদে আজানের সময় মাইক বাজানো নিয়ে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সেই বিতর্কের আবহেই আদিত্যনাথ বলেন, ‘অন্যদের অসুবিধার সৃষ্টি করা উচিত নয়।’
এখানেই শেষ নয়, নতুন করে কোনও জায়গায় মাইক বাজাতে চাইলে। অনুমতি না দেওয়ারও স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। ধর্মীয় মিছিল বা শোভাযাত্রা প্রসঙ্গে যোগী তাঁর নির্দেশে বলেছেন, ‘অনুমতি ছাড়া কোনও শোভাযাত্রা বের করা যাবে না। যদি মিছিল বের করতে হয়, তাহলে মিছিলের আয়োজকদের লিখিত ভাবে জানাতে হবে যে ওই মিছিলে শান্তি বজায় রাখা হবে।’ তিনি আরও বলেছেন যে, ‘পরম্পরাগত ভাবে যে শোভাযাত্রাগুলি হয়ে আসছে, শুধুমাত্র সেগুলিকেই অনুমতি দেওয়া হবে। নতুন কোনও ধরনের ধর্মীয় মিছিলের আয়োজন করা যাবে না।’ এদিকে, অক্ষয় তৃতীয়া এবং ইদ একই দিনে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। সেই কারণেই অশান্তি এড়াতে আগেভাগে করা নিয়ম চালু করছেন যোগী আদিত্যনাথ।
অন্যদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ধর্মীয় নেতৃত্ব এবং বিশিষ্ট মানুষদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন। কোনরকম উসকানিমূলক মন্তব্য ছড়ালে কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের দ্বিতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও যেকোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান যেন ধর্মস্থানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। সেই অনুষ্ঠানের কারণে যেন কোনোভাবেই ট্রাফিকের সমস্যা না হয়, সেদিকেও নজর দিতে বলেছেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :