1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

উৎসবের আবহে মুম্বইয়ের একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণের হুমকি! শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২২, ১১:২৫ এএম

উৎসবের আবহে মুম্বইয়ের একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণের হুমকি! শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান
উৎসবের আবহে মুম্বইয়ের একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণের হুমকি! শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ের একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণের হুমকি ফোন পেল মুম্বই পুলিশ। শহরের একাধিক জায়গায় ২৬/১১-র আগেই এল হুমকি ফোন। এর জেরে তড়িঘড়ি বাড়ানো হল নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি পুলিশের জরুরি পরিষেবা নম্বরে ফোন করে জানিয়েছে যে, শহরের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ হবে। এরপরই সেই ব্যক্তি ফোন কেটে দেয়।

এদিকে, হুমকি ফোন পাওয়ার পরেই ওই জায়গাগুলিতে বোমা উদ্ধারের অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকাকে। যদিও এখনও পর্যন্ত বিপজ্জনক কিছু পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে যে, মুম্বই পুলিশের ১১২ ‘হেল্পলাইন নম্বরে’ ফোন করে শহরে একাধিক জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ হবে বলে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি জানিয়েছে।

ওই ব্যক্তি জানায় যে, শহরে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা যথাক্রমে আন্ধেরির ইনফিনিটি মল, জুহুর পিভিআর মল এবং সহারা হোটেলে বোমা রাখা হয়েছে। এরপরই ফোন কেটে যায়। তড়িঘড়ি আন্ধেরি ও জহুর নির্দিষ্ট এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। এলাকায় বোমা উদ্ধারে বিশেষজ্ঞদের ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে, এখনও পর্যন্ত কিছু তেমন পাওয়া যায়নি বলেই জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত কয়েক দশকের মধ্যে একাধিক জঙ্গি হামলা ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার সাক্ষী থেকেছে মুম্বই শহর। যাতে নিহত এবং আহত হয়েছেন বহু মানুষ। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর পাক সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় কেঁপে উঠেছিল মুম্বই শহর। ১০ লস্কর জঙ্গি করাচি থেকে সমুদ্রপথে মুম্বই শহরে ঢোকে। জঙ্গিরা তাজ হোটেল, হাসপাতাল, রেস্তরাঁ, রেল স্টেশনে হামলা চালায়। পরে অবশ্য নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে মৃত্যু হয় অধিকাংশ জঙ্গির। আজমল কাসব নামের এক জঙ্গিকে জীবিত অবস্থায় গ্রেফতার করা হয় এবং সেই হামলার ঘটনার কয়েকবছর পরে, বিচারে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। ২০১২ সালে কাসভের ফাঁসি হয়।

তারও আগে ১৯৯৩ সালে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে বহু নিরীহ মানুষের রক্ত ঝরেছিল এই মুম্বই শহরে। সেই বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৫৭ জন মানুষ। আহত হন ৭১৩ জন। জানা যায় যে, সেই হামলার নেপথ্যে ছিল দাউদ ইব্রাহিম ওরফে ‘ডি কোম্পানি’। দোষী সাব্যস্ত করা হয় কুখ্যাত গ্যাংস্টার আবু সালেম, ফিরোজ খান, করিমুল্লা খান, তাহের মার্চেন্ট, মুস্তাফা দোসা, রিয়াজ সিদ্দিকিকে। তবে, সেই হামলার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত বা মাস্টার মাইন্ড টাইগার মেনন পলাতক।

আরও পড়ুন