বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সদ্য সমাপ্ত ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ার পরই ক্রমশ সরব হচ্ছেন কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতারা। তবে, শীর্ষ নেতৃত্ব পুরোপুরি মুখে কুলুপ এঁটেছে। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই আড়ালে চলে গিয়েছেন রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এদিকে, চলতি সপ্তাহেই জি ২৩-এর অন্যতম নেতা গুলাম নবি আজাদ-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এই বৈঠকে সোনিয়া গান্ধী বিক্ষুব্ধ নেতাদের উদ্দেশে এই বৈঠক থেকে ঠিক কী প্রস্তাব দিয়েছেন নেত্রী, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে, শীর্ষ নেতৃত্ব চুপ করে বসেও নেই।
দলীয় সূত্রে খবর, বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে কথা বলার পরই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বরা গান্ধী পরিবারের বাইরে এমন একজনকে খুঁজছেন, যিনি দলের বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন ঘতিয়ে,ম হাল ফেরাতে সক্ষম। বস্তুত, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব জি-২৩ নেতাদের কাছে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও এই রাহুল গান্ধী, যাকে নিয়ে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতাদের সমস্যা রয়েছে সেই রাহুল গান্ধীই ঘনিষ্ঠ মহলের কাছে দলের হারের তিনটি মূল কারণ খুঁজে বার করেছেন। তাঁর মতে, দলের মতাদর্শ, সংগঠন এবং প্রযুক্তি- এই তিনটি কারণের জন্যই সাধারণ মানুষের কাছে ক্রমশ গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে কংগ্রেস।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকেই রাহুল গান্ধী প্রশ্ন করেছিলেন যে, ‘আপনারা বাজার থেকে যে কোনও কোনও প্রযুক্তি কিনতে পারেন। যেকোনও রাজনৈতিক দলই তা কিনতে পারে। কিন্তু কোথা থেকে মতাদর্শ কিনবেন?’ ঘনিষ্ঠ মহলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই বৈঠকের পরই গান্ধী পরিবারের পক্ষ থেকে বিকল্প মুখের খোঁজ করা হচ্ছে, যারা আগামীতে দলে বড় ভূমিকা পালন করতে পারবেন। এর জন্য এখনও পর্যন্ত যেসব নেতাদের নাম উঠে এসেছে, তাঁরা হলেন, মুকুল ওয়াসনিক, অশোক গেহলট, ভুপেশ বাঘেল, মল্লিকার্জুন খাড়গে, সচিন পাইলট প্রমুখ।
অন্যদিকে, জি-২৩ নেতারাও দলে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন। তাঁদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই কংগ্রেসের হাল ফেরাতে সম্মিলিত নেতৃত্বের প্রয়োজন এবং কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দলের সব স্তরের মতামতও গ্রহণ করা উচিত। এদিকে, সূত্রের খবর, বিক্ষুব্ধ এক জি-২৩ নেতাকে দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন যে, তাঁর নিজের রাজ্যের সাংগঠনিক দায়িত্ব গ্রহণ করতে। আবার সোনিয়া গান্ধীও বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী আজাদের কাছে এমন কংগ্রেস নেতাদের নাম চেয়েছেন, যারা আগামিদিনে দলের হাল ফেরাতে সক্ষম। সূত্রের মধুসূদন মিস্ত্রির নেতৃত্বে কংগ্রেসের যে কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটি রয়েছে, তাতে বদল আনার পরামর্শ দিয়েছেন এই বর্ষীয়ান নেতা। পাশাপাশি কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটিতেও একইভাবে পরিবর্তনের দাবি করা হয়েছে। এছাড়াও এও জানা গিয়েছে যে, গুলাম নবি আজাদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলার পর থেকেই দলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন দলনেত্রী সনিয়া গান্ধী।
আপনার মতামত লিখুন :