বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিধায়ক স্ত্রীকে সকলের সমানে সপাটে চড়। পঞ্জাবে আম আদমি পার্টির মহিলা বিধায়ককে মারধরের ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিন্দার ঝড় উঠেছে। উল্লেখ্য, ওই বিধায়কের অভিযুক্ত স্বামীও পঞ্জাবের শাসকদল আম আদমি পার্টির যুব নেতা।
বৃহস্পতিবার এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। পাশাপাশি নেটিজেনরাও প্রশ্ন তুলেছেন যে, নিজেদের শিক্ষিত, প্রগতিশীল বলে দাবি করা রাজনৈতিক নেতা কী করে এই কাজ করতে পারেন? যদিও ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল।
জানা গিয়েছে, পঞ্জাবের তালওয়ান্দি সাবো এলাকার ২ বারের বিধায়ক বলজিন্দর কৌর। উচ্চশিক্ষিত এই নেত্রী রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে ফতেপুর সাহিবের একটি কলেজে ইংরেজির অধ্যপনা করতেন। আবার তাঁর স্বামী সুখরাজ সিংও আম আদমি পার্টির যুবনেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি বাড়ির উঠানে বলজিন্দর এবং সুখরাজের মধ্যে কোনও বিষয়ে কোনও বিষয় নিয়ে ঝামেলা, তর্কাতর্কি চলছে। সেখানে আরও কয়েকজন নারী-পুরুষ উপস্থিত রয়েছেন। বচসার মাঝেই নলজিন্দর তাঁর স্বামীর দিকে কিছু বলতে এগিয়ে যান। আরও তখনই বসে থাকা তাঁর স্বামী সুখরাজ তেড়ে গিয়ে সপাটে থাপ্পড় মারেন স্ত্রীকে।
সেই সময় সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিরা সুখরাজকে সরিয়ে দিতে গেলেও, তাঁকে বাধা দিতে দেখা যায়। সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটে গত ১০ জুলাই। যদিও মারধরের ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে গত বৃহস্পতিবার। তখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি বিধায়ক বলজিন্দর। এদিকে, পঞ্জাবের একাধিক কংগ্রেস এবং বিজেপি নেতা এই ভিডিও শেয়ার করেছেন।
এদিকে, বিধায়ককে মারধরের ভিডিও প্রকাশ্যে আসর পরই সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। নেটিজেনরাও সরব হয়েছেন। পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের এম.ফিল করা বলজিন্দর দীর্ঘদিন ধরেই আম আদমি পার্টির সঙ্গে যুক্ত। তিনি এক দশক আগে দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। সেখান থেকেই ২০১৭ সালে প্রথম বিধায়ক হন বলজিন্দর। এরপর ২০১৯ সালে পঞ্জাবের আপ নেতা সুখরাজ সিংয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
উল্লেখ্য, বলজিন্দররে স্বামীর হাতে মার খাওয়ার ওই ভিডিও দেখে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পঞ্জাবেবর মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন মণীশা গুলাটি।
আপনার মতামত লিখুন :