বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ঘরের বাইরে নয়, খোদ ঘরের অন্দরেই এক নাবালিকা যৌন নির্যাতনের শিকার। হ্যাঁ এমনটাই একটি ঘটনায় জানা গিয়েছে। এক কথায় যা ভয়ঙ্কর। নিরাপদ আশ্রয় যে ঘর, সেই ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যেই দিনের পর দিন, বছরের পর বছর ধরে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে বছর ১১-র এক নাবালিকা। তাও ঘরের পুরুষদের হাতে, যারা কিনা রক্ষক হওয়ার ছিল, সেই তারাই তার শৈশবকে ক্ষত বিক্ষত করেছে। সেই তালিকায় দাদু, কাকা, দাদা এমনকি খোদ জন্মদাতা বাবাও রয়েছে।
দাদু-কাকার খারাপ স্পর্শ আর বাবা ও দাদার দিনের পর দিন ধরে ধর্ষণ সহ্য করতে হয়েছে ১১ বছরের এক নাবালিকাকে। জানা গিয়েছে, টানা ৫ বছর ধরে নির্যাতিতা ওই নাবালিকা। এই ঘটনায় রীতিমতো স্তম্ভিত পুলিশ। এমন নক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে পুনে শহরের বুন্ডগার্ডেন থানায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক নাবালিকাকে তার বাবা এবং দাদা বারবার ধর্ষণ করত। এর পাশাপাশি যৌনাচার চালাত দাদু এবং কাকাও। শনিবার এমনই অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুনের পুলিশের কাছে। মেয়েটির দাদু এবং দূর সম্পর্কের কাকা সুযোগ পেলেই যৌন নির্যাতন করত। এদিকে, অভিযোগ পাওয়ার পরই, পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার দাদা এবং বাবার বিরুদ্ধে ৩৭৬ ধারার অধীনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি দাদু এবং ওই দূর সম্পর্কের কাকার বিরুদ্ধেও ৩৫৪ অধীনে মামলা করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, নির্যাতিতা ও তার পরিবারের সদস্যরা বিহারের বাসিন্দা। বর্তমানে তারা পুনেতে থাকে। পুলিশ ইন্সপেক্টর (অপরাধ) অশ্বিনী সাতপুতে জানিয়েছেন যে, ওই নাবালিকা তার স্কুলে ‘গুড টাচ এবং ব্যাড টাচ’ সেশনের সময় সমস্ত ঘটনাটি খুলে বলে। সে এও জানিয়েছেন যে, গত ৫ বছর ধরেই তার উপর নির্যাতন চলছিল। এরপরই স্কুলের কাউন্সেলর অভিযোগ দায়ের করেন।
তিনি অভিযোগের প্রসঙ্গ তুলে এও বলেছেন যে, ওই নাবালিকার বাবা ২০১৭ সালে তার মেয়ের উপর যৌন নির্যাতন করেছিল। তখন তারা বিহারে থাকত। এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির বড় দাদা তাকে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে যৌন নির্যাতন শুরু করে। পাশাপাশি তার দাদু এবং কাকাও তাকে খারাপভাবে স্পর্শ করত।
আপনার মতামত লিখুন :