দীপাবলির আগেই উত্তরাখণ্ডে প্রধানমন্ত্রী! চোল ডোরা পরে, কেদারনাথে ভক্তি ভরে পুজো দিলেন মোদী

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আলোর উৎসব দীপাবলির আগেই উত্তরাখণ্ডে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেদারনাথ-বদ্রীনাথ ধামের দর্শনে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দীপাবলির উপহার হিসেবে বহু প্রতীক্ষিত কেদারনাথ রোপওয়ে প্রকল্পের ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি সড়ক পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনও করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

আজ সকালেই ২ দিনের সফরে উত্তরাখণ্ডে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উত্তরাখণ্ডে পৌঁছেই প্রথমেই তিনি যান কেদারনাথ মন্দিরে। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে কেদারনাথ মন্দির। কেদারনাথে গিয়ে মন্দিরে পুজো দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পুজোর পাশাপাশি আরতিও করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এরপর কেদারনাথ মন্দিরের ঠিক পিছনেই অবস্থিত আদি গুরু শঙ্করাচার্জের সমাধিস্থলেও যান এবং সেই স্থান পরিদর্শন করেন।

এবারের প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাখণ্ডের সফরে বিশেষভাবে নজর কেড়েছে মোদীর পোশাক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এদিন দেখা যায় হিমাচলের স্থানীয় পোশাকে। চোল ডোরা নামক এই পোশাকটি সম্প্রতিই হিমাচল প্রদেশ সফরে গিয়ে উপহার পেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। হিমাচলের চাম্বা জেলার এক স্থানীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রীকে নিজের হাতে তৈরি এই পোশাকটি উপহার দিয়েছিলেন। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন যে, শীঘ্রই তিনি এই পোশাক পরবেন। আজ তিনি তাঁর দেওয়া সেই কথা বা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহার পাওয়া সেই শীতের পোশাক পরেই কেদারনাথ মন্দিরে পুজো দেন।

এরপর কেদারনাথ থেকেই বদ্রীনাথে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে ১১ টা তিনি বদ্রীনাথ মন্দিরে যান। সেখানে মন্দিরে পুজো দিয়ে বদ্রীনাথ মাস্টারপ্ল্যানের অধীনে চলা নির্মাণকাজের অগ্রগতিও খতিয়ে দেখবেন।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে ইতিমধ্যেই কেদারনাথ ও বদ্রীনাথ মন্দিরের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত আইটিবিপি জওয়ান। জানা গিয়েছে, মানা সীমান্তে আইটিবিপি জওয়ানদের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। ২ দিনের এই উত্তরাখণ্ড সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ৯.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ গৌরীকুণ্ড-কেদারনাথ রোপওয়ে প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন। এর পাশাপাশি ৭ নম্বর জাতীয় সড়ক চওড়া করা, যা হৃষীকেশ, জোশীমঠ এবং বদ্রীনাথের সঙ্গে দেরাদুন, চণ্ডীগড় ও রুদ্রপ্রয়াগকে যুক্ত করবে, সেই সড়ক প্রকল্পেরও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন।