বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হয়েই কাজে মন দিয়েছেন ঋষি সুনক। দীপাবলির দিনই ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। আগামী ২৮ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক বসেছেন। এনিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রত্যেক ভারতীয়। অভিনন্দন জানিয়েছেন খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
আর এবার তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন নরেন্দ্র মোদী। আগামী মাসেই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী মুখোমুখি হতে চলেছেন। তবে, ভারতে বা ব্রিটেনে এই সাক্ষাৎ নয়। মোদী-সুনকের এই সাক্ষাৎ হতে চলেছে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। সেখানে G-20 সামিটে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীরই উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সিংহাসনে বসার পর এই প্রথমবার ভারতের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে আলাপচারিতা হতে চলেছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনকের। আন্তর্জাতিক মহলের তরফে মনে করা হচ্ছে যে, সুনকের শাসনকালে ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক কেমন হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে।
ইতিমধ্যেই ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইট করে ঋষি সুনককে শুভেচ্ছা বার্তা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আপনি যেহেতু ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন, তাই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ মিলবে। আমি সেই দিকেই তাকিয়ে আছি। ২০৩০-র রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।’এর সঙ্গে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতিয়দ্র জীবন্ত সেতুবন্ধনকারী বলেও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই রাজা চার্লস আনুষ্ঠানিকভাবে ঋষি সুনককে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ করেন। এরপরই দেশবাসীর উদ্দেশ্যে প্রথম ভাষণ দেন নয়া প্রধানমন্ত্রী। ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে থেকে ব্রিটেনবাসীর উদ্দেশ্যে নানা প্রতিশ্রুতি দিতে শোনা যায় তাঁকে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পর, রাজা চার্লস তৃতীয়ের সঙ্গে দেখা করার আগেই ঋষি সুনক জানিয়েছিলেন, এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে, কাজ শুরু করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিজের প্রথম ভাষণে ঋষি সুনাক জানিয়েছিলেন, তাঁর সরকারের প্রথম আলোচ্যবস্তু হল দেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সক্ষমতা বজায় রাখা। তিনি ব্রিটেনের আপামর জনগণের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি আপনাদের বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি তাই এই জায়গায়। এই ভরসা আমি রাখব।’ এর পাশাপাশি সুনাক তাঁর পূর্বসূরি অর্থাৎ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের প্রতিটি ভুল সংশোধন করার জন্যই দায়িত্ব নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :